এম এ আশরাফ, স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা মাদ্রাসার দাওরার ছাত্র ও হাসমত বেপারী বাড়ির জামেমসজিদের ইমাম মোঃ আব্দুল হালিম (২৪) ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। নিজের হাতে সুইসাইডাল নোটে লিখে গেছেন তার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়। ৯৯৯ এ সংবাদ পেয়ে পুলিশের এস আই মো: মনির হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সুইসাইডাল নোট সহ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। তিনি ভোলার বেলুমিয়া ইউনিয়নের চর চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের ফারুক ফরাজীর ছেলে।
ঘটনাটি বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে তিনটায় ঘটেছে।
একাধিক বিয়ে করা ইমাম আবদুল হালিম সুইসাইডা নোটে লিখেছেন, আমার লাশটা আগুনে পুড়িয়ে পাহাড়ে নদীতে বাতাসে উড়িয়ে দিও। কারণ, আমার জীবনটাই হলো পাপিষ্ট। জীবনে আমি এমন কোন জায়গায় যাইনি যে জায়গা আমার পাপের স্বাক্ষী হয়নি। অর্থাৎ যেখানে গিয়েছি পাপ করেছি। সবাইকে বলছি, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। ছোট বেলা থেকেই অনেক গুণাহ করেছি। তাই এ দুনিয়া ভালো লাগেনা।
ইমাম আঃ হালিমের ভগ্নীপতি মো: রাসেদ জানান, তার দুই স্ত্রী ছিল। প্রথম স্ত্রী রাজিয়ার ঘরে চার মাসের একটি কন্যা সন্তান আছে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী রোকসানার ঘরে কোনো সন্তান নেই। স্ত্রীরা তার মন মত না চলায় তিনি উভয় স্ত্রীকে তালাক দেন। এ ছাড়া এলাকায় কিছু ধারদেনাও ছিলেন। এসব কারণে মানসিক চাপ থেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। চার মাসের কন্যা সন্তানটিকে দত্তক দেয়া হয়েছে।
দৌলতখান থানার ওসি মো: জাকির হোসেন আবদুল হালিমের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার দুই স্ত্রীকেই তালাক দেয়া এবং ধারদেনার কারণে মানসিক চাপ থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।