শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
ঘোষনা
রাজৈরে মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজধানীর মিরপুরে দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা ইস্টার্ন হাউজিং,রূপনগর থানা, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে সরিষাবাড়ীতে শফিকুলকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ: ভুক্তভোগীদের বিচার প্রার্থনা সাবেক স্ত্রীর আটটি মামলায় জর্জরিত স্বামী ও তার প‌রিবার এতিমদের সম্মানে ঢাকা প্রেস ক্লাবের পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা টিটিসিতে ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতি বাতিলের দাবি স্থানীয়দের সাতক্ষীরায় শিশু ও নারী সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূয়া ডিবি পুলিশকে জনতার গণধোলাই  গোমস্তাপুরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রনোদনা বিতরণ

মাগুরার ছোট বাচ্চা মেয়েটি বড় বোনের বাসায় বেড়াতে এসে নিষ্ঠুর মৃত্যু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ১৩৬ বার পঠিত

 

রিপোর্টার মোঃ আরিফুল ইসলাম:

মানুষ হয়ে জন্মেছি মানুষ আর হলাম কোথায়?
বুকভরা অভিমান আর কষ্ট নিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলো মাগুরার ছোট বাচ্চা মেয়েটি।

বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল বাচ্চা মেয়েটা। ফিরতে রাত হয়ে যাবে বিধায় বড় বোন বলেছিল এর পরদিন বাড়িতে যেতে। বড় বোন কিছুক্ষণের জন্যে বাইরে গিয়েছিল।
মেয়েটা বোনের রুমে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে ছিল এককোনায়। দুলাভাইও ছিল রুমে। বড়বোন ভেবেছিল তার হাসবেন্ড যেহেতু আছে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।

তারপর দুপুরের দিকে বড় বোন বাসায় এসে দেখে রুমে লাইট নিভানো, ঘুটঘুটে অন্ধকার। তড়িঘরি করে লাইট জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের ছোট বোনটা এলোমেলোভাবে পড়ে আছে, চেহারাটা ফ্যাকাশে।

বড় বোন বুঝতে পারেনা কি হয়েছে তার আদরের বোনটার সাথে। অনেকক্ষণ পর যখন বুঝতে পারে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।

বড় বোন শাশুড়িকে হাতজোড় করে তার বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। কিন্তু শাশুড়ি নিষেধ করছিল ঘটনাটা যাতে জানাজানি না হয়,হলে না-কি মানসম্মানে কমতি পড়বে তাদের।

তারপর বহু কষ্টে শাশুড়িকে রাজি করিয়ে বড় বোন তার ছোট বোনটাকে নিয়ে আসে মাগুড়া হাসপাতালে। কোনরকম দায়সারা ভাবে হাসপাতালে দিয়েই শাশুড়ি পালিয়ে যায় সেখান থেকে।

হাসপাতালে আনার পর বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা আরও বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে। ব্যথায় কাতরাচ্ছিল শুধু। বাচ্চা মেয়ে বয়স আর কত হবে? সাত কিংবা আট।

যৌনতার কিছুই বুঝে না, পুতুল নিয়ে খেলার বয়স তার।

মেয়ের মা এবং বোনের সন্দেহ দুলাভাই সজীব এবং শ্বশুর হিটুর প্রতি। জোরালো সন্দেহ দুলাভাই সজীবের প্রতি যেহেতু তার রুমেই ছিল বাচ্চা মেয়েটা।

তৌহিদী জনতা এখন এই বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ দিবে? তার তো ওড়না পড়ার বয়সও হয়নি।
ওড়না পড়ার বয়স হলে নাহয় ওড়নার দোহাই দিয়ে দায়সারা যেত।

তারা কি এবারেও ধ* র্ষ কের পক্ষ নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে আনবে?

মেয়ের মা এবং বোন মিলেই এখনও অসহায়ের মত পড়ে আছে হাসপাতালে। তাদেরকে সাহায্য করতে কোন তৌহিদী জনতা আসেনি, আসেনি কোন নারীবাদী সংগঠন।

বাচ্চা মেয়েটার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। ব্যথায় একটু পর পর ককিয়ে উঠতেছে শুধু। বড় বোন একপাশে হাতে ধরে দাড়িয়ে আছে।

মেয়েটার মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আশ্বাস দিচ্ছে – সব ঠিক হয়ে যাবে মা, কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি। মেয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991