মোঃ শফিকুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি মাগুরা:মাগুরার মহম্মদপুরে বেশ কিছুদিন ধরে চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। পাশাপাশি নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির দাম। অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতোই হঠাৎ সবজির দামও বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যের পাশাপাশি কাঁচা সবজির দাম বাড়তে থাকায় অতিষ্ঠ নিম্ম আয়ের মানুষ।
খুচরা ব্যবসায়ী আলিয়ার রহমান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত তদারক করা হচ্ছে। কোন ব্যবসায়ী মালের দাম যদি বেশি রাখে তাহলে খোঁজ পেলে সেই ব্যবসায়ীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলু – খুচরা মূল্য-৪০ টাকা, পাইকেরি মূল্য-৩৫ টাকা, পোটল- খুচরা মূল্য- ৩০, পাইকেরি মূল্য- ২৫ টাকা উচুতে- খুচরা মূল্য- ৬০ টাকা, পাইকেরি মূল্য- ৫০ টাকা
ঝিঙে- খুচরা মূল্য-৪০, পাইকেরি মূল্য- ৩০ টাকা
সোষা- খুচরা মূল্য- ৪০ টাকা, পাইকেরি মূল্য- ৩০ টাকা ধুনধল- খুচরা মূল্য-২০ টাকা, পাইকেরি মূল্য-১০ টাকা মুখি- খুচরা মূল্য- ৭০ টাকা, খুচরা-৬০ টাকা, বেগুন-খুজরা মূল্য-৪০ টাকা, পাইকেরি মূল্য-৩০ টাকা ঢেঁড়স-খুজরা মূল্য-৪০ টাকা, পাইকেরি মুল্য-৩০ টাকা কাঁচা মরিচ- খুজরা মূল্য-২০০ টাকা, পাইকেরি মূল্য- ১৮০ টাকা পাতা কফি-খুজরা মূল্য-৬০ টাকা, পাইকেরি মূল্য- ৫০ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ ও রসুনের দাম আকাশ ছোঁয়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি।
খুচরা বাজারের সবজি কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই মাঝেমধ্যে শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচসহ পটোল, কাঁচা মরিচের দাম বেশি বেড়েছে যাচ্ছে। কাঁচামালের দাম এতো পরিমান বেড়েছে নিম্ম আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কৃষকের মালামাল পাট, ধানের দাম একবারই কম, দাম বেশি হলে তো সমস্যা হতো না। বর্তমানে যা দেখছি দরিদ্রদের এক বেলা খাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ক্রেতার অভিযোগ করেন, বাজারে তদারকি না থাকায় বিক্রেতারা খেয়ালখুশিমতো দাম বাড়াচ্ছেন। এতে ক্রেতাদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষ। সারা দিন বললেও কোনো লাভ হবে না। সরকার যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে, সেভাবেই সবকিছু হচ্ছে। আমরা খাই আর না খাই, তা দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বেশ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে কাঁচা শাক-সবজির সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে এই সুযোগে খুচরা বিক্রেতারা যদি অতিরিক্ত মুনাফার আসায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি করেন, তাহলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।