নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন তাকে লাঠিপেটা করেছেন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর সাতবাড়িয়া মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত এএসআই সোহেল রানা রাতে সাতবাড়িয়া মহল্লার এক নারীর ঘরে ছিলেন। স্থানীয়রা তাকে সেখানে পেয়ে দরজা বন্ধ করে জেরা করার পাশাপাশি লাঠিপেটা করেন। ওই নারীকেও মারধর করা হয়।
ভিডিওতে এএসআই সোহেল রানা দাবি করেন, তিনি ওই নারীকে কলমা করে বিয়ে করেছেন। তবে নারীর স্বামী জানান, তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। ওই নারী দাবি করেন, তিনি মুখে মুখে স্বামীকে তালাক দিয়েছেন।
ওই নারীর স্বামী মাদক কারবারির সঙ্গে জড়িত এবং একাধিক মামলায় জেল খেটেছেন। তিনি জামিনে মুক্ত হলেও স্ত্রী তার কাছে ফিরেননি। এদিকে এএসআই সোহেল রানা তিনটি অটোরিকশা কিনে সেই নারীর তত্ত্বাবধানে দেন, যা নিয়ে তার যাতায়াত ছিল। ঘটনার রাতে তিনি ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
চন্দ্রিমা থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান, ঘটনাটি মতিহার থানা এলাকায় ঘটেছে এবং এএসআই সোহেল রানা এখন মতিহার থানার হেফাজতে আছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছেন এবং এএসআই সোহেল রানার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। আসল ঘটনা কী, তা খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।