স্টাফ রিপোর্টারঃ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী। বাদল হোসেন (দুলাল) ও বাশার তালুকদার (রনি।
এরা মিরপুর এলাকায় দাপটের সঙ্গে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাদেরকে মামলা হামলা করে হয়রানি করার ভয় দেখায় দুলাল হোসেন।
এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে দুলাল হোসেন সহ তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ,তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না।
এই সোর্সের রোষানলে পড়ে মিথ্যা অভিযোগের শিকার হয়েছেন মিরপুর এলাকার বাসিন্দার মোঃ (সাদ্দাম) হোসেন ও মোঃ (শহীদ) সরদার। টিংকু মিয়া সহ অনেকে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী মোঃ (সাদ্দাম) হোসেন ও মোঃ (শহীদ) সরদার ও টিংকু মিয়া জানান সোর্স (দুলাল) হোসেন
খুব ছোট দুটি বাচ্চার ছেলের কাছে মরণ নেশা ইয়াবা দিয়ে টাকা নিচ্ছে তাই দেখে মোঃ(সাদ্দাম) হোসেন ও মোঃ (শহীদ) সরদার টিংকু সহ প্রতিবাদ করেন বলে এলাকাবাসী জানায়। এর জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেন সোর্স দুলাল হোসেন।
মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানি থেকে বাঁচতে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও মোঃ শহীদ সরদার, টিংকু মিয়া।
গোপন সূত্রে জানা যায় দুলালের বাসায় প্রতিদিন ইয়াবার আসর ও জুয়া খেলার আসর বসে।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া এ আসর চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে সোর্স পরিচয় নামধারী মাদক ব্যবসায়ী (দুলাল) ও(রনি) এদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মিরপুর থানা এলাকার সাধারণ মানুষ।
এদের ব্যবসার পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেন।
এদের নেতৃত্বে একটি চক্র রয়েছে দীর্ঘদিন মিরপুর এলাকায় ইয়াবার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা করে আসছিল বলে মিরপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান।
নিরিহ লোকজনকে টার্গেট করে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে দুলাল। তুলে দেওয়ার কিছুক্ষন পর তারাই আবার মোটা অংকের টাকা দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাজায়, অপরাধী গ্রেফতারে নানা তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করাই সোর্সের কাজ।
পুলিশ সোর্স নিয়োগ করে অপরাধীদের মধ্যে থেকেই। বিনিময়ে তারা অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু সোর্সেরা অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিয়ে নিজেরাই ব্যবসা শুরু করে।
সারাদেশেই ইয়াবা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এই মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের তালিকাও জেলাভিত্তিক প্রস্তুত করা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
ইয়াবার ব্যবসার সঙ্গে মাঠপর্যায়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সদস্য ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্সরা জড়িত। শুধু তাই নয়, অনেক এলাকায় পুলিশের সোর্সরাও ইয়াবার ডিলারও বটে।
সম্প্রতি পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে অভিযোগ করেছেন, মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের কতিপয় সদস্য ও কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছেন।
এরপর মাদক বাণিজ্যের মদদদাতা, পৃষ্ঠপোষকদের গডফাদারদেরও তালিকা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে মিরপুর বাসীর একটাই দাবি তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক