
রিপোর্টারঃ মোঃ আলমগীর হোসেন
যখন রাজনীতি ধীরে ধীরে নীতিহীনতা ও স্বার্থের জালে জড়িয়ে পড়ছিল, তখনও একজন মানুষ দৃঢ় চিত্তে ধরে রেখেছিলেন সত্য ও ন্যায়ের পতাকা।
তিনি জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন—মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার সহজ-সরল মাটির সন্তান, এক নির্ভীক সংগ্রামী, যিনি শুধু একজন দক্ষ আমিন বা দলিল লেখক নন, বরং বিএনপির ত্যাগ, সাহস ও আদর্শের জীবন্ত প্রতিমূর্তি।
করোনাকালীন দুর্দিনে কিংবা বন্যার সময়—মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর অভ্যাস, তাঁর নেশা। যখন অন্যরা ভয় পেয়েছে, ইকবাল ভাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মানুষের সেবায়, দলের সঙ্কটে ও জনগণের কষ্টে তিনি থেকেছেন সর্বাগ্রে।
তিনি সেই মানুষ, যিনি ঝড়ে ভেঙে পড়েননি, বরং ঝড়ের ভেতরেই জ্বলে উঠেছেন এক দীপ্ত শিখার মতো।
রাজপথ থেকে আদালত, কারাগার থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে—তাঁর প্রতিটি পদচিহ্নে ছড়িয়ে আছে সাহসিকতার ছাপ। মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, জমি হারানো—এমনকি মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হওয়ার মতো হৃদয়বিদারক অধ্যায়ও তাঁকে টলাতে পারেনি। কারণ, তাঁর বুকের গভীরে আছে এক অবিচল শপথ—দেশের জন্য, দলের জন্য, জাতির জন্য।”
বিএনপির পতাকাটি তিনি কেবল গায়ে জড়াননি, তিনি তা আত্মার সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছেন। লোভ, ভয় কিংবা প্রলোভন তাঁকে দমাতে পারেনি। তাঁর নীরব সংগ্রাম আজও নতুন প্রজন্মকে শেখায়—
আদর্শের প্রতি অটল থাকাই সত্যিকার নেতৃত্ব।
আজও তিনি নীরব সৈনিকের মতো পথ হাঁটছেন, বুকের রক্তে আগুন জ্বালিয়ে। তাঁর চোখে আজও জ্বলে আশার আলো—যে আলো শুধু তাঁকেই নয়, চুপ করে থাকা শত শত নেতাকর্মীকেও সাহস জোগায়, জাগিয়ে তোলে।
তিনি কেবল একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি এক চলমান ইতিহাস, এক জীবন্ত পাঠশালা।
তাঁর জীবন শেখায়—ত্যাগই সবকিছুর শেষ নয়; আদর্শ ধরে রাখার সাহসই নেতৃত্বের আসল চাবিকাঠি।
একদিন এই নিঃশব্দ বীরত্ব ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে স্বর্ণাক্ষরে। তখন আমরা গর্ব করে বলব—
“এই মানুষটির মতো বলিষ্ঠ হৃদয়বানদের কারণেই দল বেঁচে থাকে, আদর্শ জাগরুক থাকে, আর জাতি খুঁজে পায় মুক্তির দিশা।”
রাজনৈতিক পরিচয় ও সংগ্রামের ইতিহাস
দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন বিএনপির দুঃসময়ের রাজপথের পরীক্ষিত জিয়ার সৈনিক।
তিনি ছিলেন —
২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
জেল, মামলা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন—সবকিছুই সহ্য করেছেন, তবুও দল বদলাননি, আদর্শের পতাকা থেকে পা সরাননি।
তিনি বিশ্বাস করেন—দলের প্রতি আনুগত্যই প্রকৃত রাজনীতির প্রাণ।
করোনার সময় কিংবা মানুষের দুঃসময়ে, ইকবাল ভাই সবসময় ছিলেন জনগণের পাশে। মানুষের কান্না, কষ্ট ও সংগ্রামের মুহূর্তে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অকুতোভয়ে—যেমনটা করেন এক সত্যিকারের জননেতা।
আজও তাঁর চোখে দেখা যায় জিয়ার আদর্শের দীপ্তি, তাঁর কণ্ঠে শোনা যায় গণতন্ত্রের গান।
তিনি শুধু একজন নেতা নন—তিনি একটি অধ্যায়, একটি শিক্ষা।
এই শিক্ষা বলে—যে ভালোবাসা ত্যাগ দিয়ে শুরু হয়, তা কখনো শেষ হয় না; বরং সময় তাকে অমর করে তোলে।
মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার গর্ব জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন ভাই,
আপনি সেই মানুষ, যাঁর জীবনপ্রবাহ নতুন প্রজন্মকে শেখায় কীভাবে আদর্শের পথে অটল থাকতে হয়।
আমাদের প্রার্থনা—
আল্লাহ আপনাকে দিন অশেষ শক্তি, দীর্ঘায়ু ও অবিচল সাহস।
আপনার জীবন হোক বিএনপির তরুণদের জন্য এক প্রেরণার বাতিঘর।