আজ বাংলার ১৫ আশ্বিন, ইংরেজির ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং। বাংলা পঞ্জিকায় শরৎকাল। দরজায় কড়া নাড়ছে হেমন্তের নবান্ন। শান্ত-নীবর প্রকৃতি। খালে-বিলে কমতে শুরু করেছে বর্ষার পানি। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিনের বেলা কড়া রোদ তাপমাত্রা যেন কমার কোন সম্ভাবনাই নেই।
সকালের শিশিরভেজা ঘাস, ভোরে ও সন্ধ্যায় কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি। শীতের আগাম সবজি খেতে কৃষকের হাজারো ব্যস্ততা। আশ্বিনের মাঝামাঝি সময়েই সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত শীতল হাওয়া আর বিকেলে ঝরতে থাকা হাল্কা ধুসর কুয়াশা। ভোরে সূর্যের আলো মাখামাখি করে মাকড়সার জালে আটকে পড়ে এক অপরূপ আবেশ তৈরি করে বিন্দু বিন্দু শিশির কণা।
এদিকে, শীতকালের বাকি আরও আড়াই মাস থাকলে ও এর আগেই প্রকৃতিতে কুয়াশা এসে হাজির। ইতোমধ্যে শেষ রাতে শীত অনুভব হচ্ছে দেশের উত্তরের জেলা রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলায় বলদিপুকুরে।
ইতোমধ্যেই এ অঞ্চলে গত ৮ থেকে ১০ দিন থেকে শুরু হয়েছে শীতের আগাম বার্তা। মধ্যরাতের পর থেকে ঘনকুয়াশা পড়ছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন গাছের ডগা ও ধান ক্ষেতে শিশির জমে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে। গভীর রাতে মানুষের শরীরে হালকা কাঁথা ও কম্বল জড়াতে হচ্ছে। এ অঞ্চলে আগাম শীতের দেখা পাওয়ায় শীতকাল আসামাত্রই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাবে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
এ প্রসঙ্গে রংপুর জেলার আবহাওয়া অফিস জানায়,এবার এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার আগাম কড়া নাড়ছে শীত। তাই শীতকাল আসামাত্রই শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে এ বছর।