স্টাপ রির্পোটারঃ মিঠাপুকুর উপজেলায় বেশ কিছু ইউনিয়নবাসী
আগামী ১লা অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
পুরোহিত মহাশয়ের উক্তি,
এই বছর কৈলাস হতে দেবী দুর্গা মর্ত্যে আসবেন গজে। শাস্ত্রে আছে দেবীর গজে আগমন শস্যপূর্ণ্য হবে বসুন্ধরা। আর দশমীতে দেবী নৌকায় কৈলাসে ফিরে যাবেন। শাস্ত্র মতে দেবীর নৌকায় গমনের মধ্য দিয়ে ফল শস্য বৃদ্ধি ও জল বৃদ্ধি ঘটে।
বাংলাদেশের সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা । দুর্গা পূজায় হিন্দু ধর্মের মানুষের মাঝে, এই ৫ টা দিন অনেক শ্রদ্ধা, ভক্তি, আনন্দ, বিনোদনের মধ্যো দিয়ে পালন করা হয়।
আমরা হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস করি তাই প্রতি বছর মা মর্তলোকে এসে আমাদেরকে দুই হাত ভরে আশীর্বাদ দিয়ে যান। আর এই আর্শিবাদ টুকু আমাদের পুরো বছরে প্রতিফলিত হয়। আর এই পূজায় প্রতিবছরের মতো এবারও সনাতন ধর্মালম্বী ভক্তগণ সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায়-উপজেলায়, গ্রাম, গন্জে পূজার আয়োজন করছে। সরকারের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় প্রশাসনিক সহযোগিতায় বিভিন্ন ভাবে নিরাপত্তা প্রধান করে থাকেন। তিনি আরো বলেন- বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সম্প্রীতির বন্ধনে লালিত আমরা বিশ্বাস করি।আমাদের দেশের সকল ধর্মের লোকেরা আমাদের মা-দুর্গার উৎসবে আনন্দ উপভোগ করে থাকেন। সরকার আমাদের যে ভাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এবং নিরাপত্তা প্রদান করেন এবং আমরা যারা এই ধর্মের অনুসারি সবাই আমরা এই যথেষ্ট চেষ্টায় সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার দায়িত্বে থেকে পরিচালনা করে থাকি, এবারেও তার কমতি হবেনা। আশাকরি সরকার এই বছর আন্তরিকগতায় এবং সুষ্ঠু নিরাপত্তা প্রধানে আরো সমৃদ্ধ প্রধান করবে। আশাকরি এই বছর তেমন কোন সমস্যা হবে না। বাংলাদেশ সকল ধর্মলম্বীরা অনেক সচেতন ও অনেক আন্তরিক সবাই এক সাথে এই পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবে। মন্দিরের প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করেছে মৃৎশিল্পীরা। এখন সাজগোজের কাজ প্রায় শেষ এখন শুধু শুরুর অপেক্ষায়। এইসময় মন্দির পরিচালনা কমিটির লোকজন জানান, এই বছর আমাদের মন্দিরে যষ্ঠী হতে দশমী পর্যন্ত পুজা অর্চনার পাশাপাশি ভক্তিমুলক সংগীতানুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন মাঙ্গলিক আয়োজন করা হবে। যা আগামী ৫ই অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে।