মোঃ ইসমাইল হোসেন নবী দূর্গাপুর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত ধরমপুর গ্রামে প্রথমে জমি জমার জের ধরে শত্রুতা পরে বিএনপি নেতার উস্কানিতে হত্যা। এরপরে সেই হত্যা মামলায় প্রতিহিংসা মূলক একই পরিবারের চারজনের নাম ঢুকিয়ে নিরীহ পরিবারের উপর অত্যাচার লুটপাট কান্ড ঘটিয়ে সেই পরিবারকে গ্রামছাড়া করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ধরমপুর গ্রামে। এমন ষড়যন্ত্র মূলক হত্যা মামলা নিয়ে ধরমপুর গ্রামের মোকছেদ মোল্লা ও তার দুই ছেলে তরিকুল ও রহিদুল গ্রাম ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আজ শনিবার ১৭ মে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে মকছেদ মোল্লার অসুস্থ বৃদ্ধ স্ত্রী মকছেদ মোল্লার মেয়ে ও ছেলে রহিদুল এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রহিদুল বলেন আমার চাচার সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ থাকতেই পারে, তার মানে আমরা তাকে হত্যা করব এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি আরো বলেন চাচা সোবহান আওয়ামী লীগ করতেন এটি এলাকার সবাই জানেন। কিন্তু ধরমপুর গ্রামের রেজার ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান রবিন বিএনপি নেতা দাবি করে উল্টো আমার বিএনপি পরিবারকে এই হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন ষড়যন্ত্র মুলক মামলা থেকে রেহাই পেতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন। মকছেদ মোল্লার মেয়ে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান রবিন কয়েকদিন পুর্বে মামলার রিমান্ড থেকে রক্ষা করার কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। এছাড়াও ২০ লাখ টাকা দিলে মামলা থেকে সবাইকে তিনি বাঁচিয়ে নিবেন এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। যদি রবিনের প্রস্তাবে রাজি না হন তাহলে সামনে বড় ধরনের ক্ষতি হবে কোন দিন এলাকায় আসতে দিবেনা এমন অভিযোগ করেন মকছেদ মোল্লার মেয়ে। মকছেদ মোল্লার অসুস্থ স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন দুইবার মৃত্যুর মুখ থেকে তিনি ফিরে এসেছেন ঠিক ভাবে চলাচল করতেও পারেনা অথচ তাকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা দেখে বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন তাদের গ্রাম ছাড়া করে তাদের ঘরে থাকা নগদ অর্থ ও জিনিস পত্র ঘরের তালা ভেঙে লুট করেছেন বাদি পক্ষের লোকজন। তবে ৭ আগস্টের মারামারির ঘটনায় মকছেদ মোল্লার পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছিল। তারা রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি থেকে দুর্গাপুর থানায় মামলা করলেও সেটি মামলা হিসেবে এখনো রেকর্ড করেনি দুর্গাপুর থানা। এমন ঘটনার বিষয় জানতে দুর্গাপুর থানার সোবাহান হত্যামামলার দায়িত্বরত উপ- পুলিশ পরিদর্শককে ফোন করলে তিনি বলেন মোকছেদ মোল্লার অভিযোগের সত্যতা নেই বলে সেই মামলা রেকর্ড হয়নি। মকছেদ মোল্লার বাড়িতে লুটপাট করার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অন্য প্রসঙ্গ তুলে সেটি এড়িয়ে যান। মকছেদ মোল্লার মেয়ে জানান তার বাবার বাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় নগদ টাকা সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বিজ্ঞ আদালতে।