মোঃ মনিরুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা । শহর ছাড়িয়ে এখন গ্রামঅঞ্চলে ডেঙ্গুর আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। আজ ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি আছেন ৩১জন রোগী।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলায় পাঠানো হয়েছে ৪ জনকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা ডেঙ্গু কর্নার। তবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কিত না হয়ে গণসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপের কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ঝাটিবুনিয়া গ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত মো.আনোয়ার হোসেন (৩৫) জানান, প্রথমে আমার জ্বর হয়। আমার চোখ লাল হয়ে যায়। জ্বর না কমায় হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করাই। এরপর ডেঙ্গু ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন চিকিৎসক। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন আছি।
হাসপাতালের তথ্যমতে জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে এপর্যন্ত ৩৮৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫৭ জন। হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন কিছমত ঝাটিবুনিয়া গ্রামের লালবরু (৬০) নামে এক নারী।এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩১ জন রোগী।চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কারণ ধারণক্ষমতা ৫০ জন থাকলেও তার তিনগুণ বেশি রোগী অবস্থান করছে হাসপাতালে। তবে সারাদেশের ন্যায় ডেঙ্গু সচেতনতায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.তেনমং জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে আক্রান্তদের বেশির ভাগ রোগীই ঢাকায় বসবাস করছিলেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন এবং জমানো পানি পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে ডেঙ্গুর লার্ভা তৈরি না হয় ও বংশ বিস্তার করতে না পারে। প্রয়োজেন রাতে ঘুমের সময় কয়েল কিংবা মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাতে হবে।
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু রোগীর মূল লক্ষণগুলো হলো- তীব্র জ্বর, মাথা শরীর এবং হাড়ে ব্যথা থাকবে। এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে শিগগিরই হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।