পেঁয়াজের বাজার দর কমে যাওয়ায় হতাশায় মেহেরপুরের পেঁয়াজ চাষিরা। একসময় পিয়াজের দাম আকাশচুম্বী থাকলেও সেই পেঁয়াজ এখন খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ২৫-২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়া থেকে এলসি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ আসাতে দেশীয় তাহেরপুর বা পাবনা জাতের পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এমনিই অভিযোগ করেছে পেঁয়াজ চাষী ও ব্যাবসায়ীরা। মেহেরপুর জেলার ফতেপুর গ্রামের বাবলু মিয়া বলেন, ৩বিঘা পেঁয়াজ চাষ করতে যে পরিমানে খরচ হয়েছে, তা অর্ধেক দামও পাওয়া যাচ্ছে না। একই গ্রামের পেঁয়াজ চাষী সামাদ হোসেন বলেন, ইন্ডিয়া থেকে যে ভাবে এলসি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ আসছে তাতে করে আমরা দেশীয় পেঁয়াজের দাম পাচ্ছি না। প্রতি কেজি পেঁয়াজ চাষ করতে আমাদের প্রায় ২৪ টাকা করে খরচ হয়েছে। সব খরচ বাদ দিয়ে আমরা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পাচ্ছি ১৫/১৮ টাকা। যা খরচ করেছি তা প্রায় অর্ধেক আমাদের লস হচ্ছে। এদিকে পেঁয়াজের বাজার দর নিয়ে বড়বাজার তহ-বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ বলেন, আমাদের মেহেরপুর অঞ্চল কৃষি ভিত্তিক, এবার চাষীদের ব্যাপক পেঁয়াজ ফলন হয়েছে, দাম একটু কম হলেও ইন্ডিয়া থেকে এলসি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ আসাতে চাষীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কয়েকদিন আগে আমরা মেহেরপুর থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে ১০ /১১টি গাড়ী লোড দিয়েছি। বর্তমানে আলগামন, নছিমন ও মিনি ট্রাক মিলে ৫-৭টি গাড়ী লোড হচ্ছে। ইন্ডিয়া থেকে এলসি পেঁয়াজ আসা যদি সরকার বন্ধ করার পদক্ষেপ নেই তাহলে চাষী বাঁচবে এবং পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পবে। অন্তত চাষীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না। অপরদিকে বড়বাজার তহ-বাজারের পাইকারী বিক্রেতা সিরাজ বাণিজ্যালয়ের সত্বাধিকারী বলেন- আমরা চাষীদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনছি প্রতি কেজি ১৩/১৫ টাকা, বিক্রয় করছি ১৮/২০ টাকায়। কেননা ইন্ডিয়া থেকে এলসি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ আসাতে বর্তমানে বাজার দর কম। চাষীদের ১ বিঘা পেঁয়াজ চাষ করতে যে পরিমাণে খরচ হয়েছে তাতে চাষীদের খরচের টাকা থেকে অর্ধেক টাকা পাবে কিনা তা সন্দেহ। এর থেকে পরিত্রানের একমাত্র উপায় সরকারকে ইন্ডিয়া থেকে এলসি পেঁয়াজ আসা বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে পেঁয়াজ চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে।