মোঃ রাসেল ব্যুরো প্রধান নাটোর :
যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার থানার মোড় থেকে বাসটি আটক করে থানা পুলিশ।
এ সময় ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ বাসটির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করেছে।
১৮ফেব্রুয়ারী দুপুর ২টার দিকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং বাসটি জব্দ করে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাজীপুর জেলার চান্দুরা হতে টাঙ্গাইল মির্জাপুর এলাকায় ইউনিক রোড রয়েলস (ময়মনসিংহ ব ১১-০০৬১) নামে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
উক্ত বাসের যাত্রী মজনু আকন্দ জানান, সোমবার রাত ১১ টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস স্ট্যান্ড হতে রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য ছেড়ে যায় ইউনিক রোড রয়েলস নামের বাসটি। কিছুক্ষন পর আটজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র চাকু, ছুরি এবং পিস্তল নিয়ে বাসের চালক সহ সকলকে জিম্মি করে। এ সময় বাসের ৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেয় এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকার ফাঁকা স্থানে নেমে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। ওই যাত্রী আরও বলেন, বিষয়টি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় অবগত করা হয়। কিন্তু তাদের কোন ভুমিকা না থাকায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানামোড় এলাকায় পৌঁছালে চারজন যাত্রী বাসটি আটক করে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ বাস সহ ৩ জনকে আটক করে।ও ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলম (২৮)কে আটক করে। আটককৃত বাবলু রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার শাহ মখদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে, সুপারভাইজার সুমন একই উপজেলার সাধুর মোড় গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ও হেলপার মাহবুব পূর্ব কাঠালিয়া গ্রামের আঙ্গুর মন্ডলের ছেলে।
উক্ত বাসে থাকা ওমর আলী নামের আরও এক যাত্রী জানান, ডাকাতির ঘটনায় চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, বাসটি আটক করা হয়েছে। বাস যাত্রীরা তিনজনকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।