চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাসজনিত এ রোগ মারাত্মক ছোঁয়াচে। এতে চোখ লাল, চুলকানো ও পানি পড়তে পারে। প্রদাহ বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
উপজেলা বলদিপুকুর পূর্ব বাড়াই পাড়ার আক্রান্ত এক ব্যাক্তি জানায়, তাদের বাড়ির সকলে আক্রান্ত এবং পাশের বাড়ির মানুষে ও চোখ উঠেছে। পাশাপাশি বাড়ির কারণে তারাও আক্রান্ত।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আগে প্রতিবছর চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হলে ও এতোটা ছিল না।
এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি জানান, চোখ প্রচন্ড জালাপোড়া করে এবং মনে হয়ে চোখে বালু পড়েছে। খচখচায় এবং প্রচন্ড ব্যাথা করে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক (রোগ নিয়ন্ত্রক) এম এ হালিম লাবলু জানান, বিভিন্ন কারণে চোখের রোগ হতে পারে। বিশেষ করে চোখ লাল হয়ে চুলকালে মনে করতে হবে অ্যালার্জির কারণে এমনটি হয়েছে। আবার ভাইরাসজনিত কারণেও চোখ লাল, পানি পড়া ও চুলকাতে পারে। এ ধরনের রোগকে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা।
তিনি আরো বলেন, চোখ ওঠা মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্তদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এ ছাড়া সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করা উচিৎ, কারণ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে গেলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে অনেক গুন। এ কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি, দিনে তিন থেকে পাঁচবার চোখে পানি দেওয়া ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এই চিকিৎসক জানান, মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০ নম্বর রুমে প্রদান করা হয় চোখের সকল চিকিৎসা। বেশি সমস্যা হলে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বলা হচ্ছে।