সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
ঘোষনা
তুরাগে বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান আতিক এর উদ্যোগে ইফতার বিতরণ.. নাটোরে মাদকের আসর বন্ধ করায় সাংবাদিকের নামে থানায় অভিযোগ  শিবগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের দ্রুত বিচারের দাবি  দেশ সংস্কার করতে নির্বাচিত সরকার দরকার নাটোরে ইফতার মাহফিলে -দুলু তুরাগে বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান আতিক এর উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ৬ মাসেও দৃশ্যমান হয়নি অন্তর্বর্তী সরকারের কোন সংস্কার- আমিনুল হক এতিমদের জমি দখল করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ সহস্রাধিক রোজাদারকে নিয়ে ইফতার করলেন সাবেক যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান রাব্বি মহানগর উত্তর বিএনপি’র পক্ষ থেকে পল্লবী ৩,নং ওয়ার্ডে ইফতার বিতরণ। সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই- আমিনুল হক

রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম পাচ্ছে জিআই পণ্যের স্থান

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪
  • ১০৫ বার পঠিত

 

মোঃ আফ্ফান হোসাইন আজমীর, রংপুর ব্যুরো প্রধানঃ রংপুর শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ বাজার। বাজারে প্রবেশ পথেই চোখে পড়বে হাঁড়িভাঙ্গা আমের ভাষ্কর্য। তিনটি আম দিয়ে তৈরি এ জায়গাটিকে বলা হয় আম চত্বর। নতুন যে কেউ জায়গাটিতে এলেই বুঝতে পারবে এটি হাঁড়িভাঙ্গা আমের জগৎ।

আঁশ বিহীন অন্যন্য স্বাদের এ আম শুধু রংপুর অঞ্চল নয়, দেশ পেরিয়ে বিদেশেও বেশ নাম কুড়িয়েছে। এবার এ আম স্থান পেয়েছে জিআই পণ্যের তালিকায়। তাই আম উৎপাদন দেশ-বিদেশে রপ্তানী নিয়ে অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

রংপুর কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রংপুর জেলায় এখন ১৩ হাজার হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান রয়েছে। সব থেকে বেশি আম হয় মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ ইউনিয়নের পদাগঞ্জে। এ এলাকাটির মাটি লাল হওয়ায় আমের স্বাদও ভিন্ন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা। এরপর জেলার আরো বেশ কয়েকটি উপজেলায় এ আম চাষ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পদাগঞ্জের সীমানায় পৌঁছালেই চোখে পড়বে এক নতুন দৃশ্য। কোথাও কোথাও ধানি জমির আইলের চতুর্দিকে সারি করে আমগাছ লাগানো হয়েছে। পথের ধারে, বাসা-বাড়ির পরিত্যাক্ত জায়গা, বাড়ির উঠানে লাগানো আমগাছ। সব গাছেই এসেছে সোনালী মুকুল। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, গত অর্থবছরে রংপুর অঞ্চলে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের আবাদ হয়েছিল। এ বছর হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি আসবে। কারণ, গত বছর যে বাগানগুলো ছোট ছিল সেগুলোর ফল ধরবে এবং আমের উৎপাদন শুরু হবে। যার কারণে গত বছরের চেয়ে এ বছরে হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন বেড়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রংপুরে হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রয়েছে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম। হাঁড়িভাঙার সবচেয়ে বড় যেটা খবর সেটা হচ্ছে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা হতে যাচ্ছে এ আমের।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন বলেন, রংপুর অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে এই আম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। হাঁড়িভাঙ্গা আম রংপুরের অর্থনীতিতে অনেক পরিবর্তন এনেছে। অনেক বছর ধরে শত শত কোটি টাকার আম বিক্রি করছেন চাষিরা। এই টাকা রংপুরের অর্থনীতিতে বেশ প্রভাব রাখছে।

তিনি বলেন, আমাদের সৈয়দপুর বিমানবন্দর রয়েছে, চিলমারী নৌবন্দর রয়েছে। আমরা যদি সেভেন সিস্টার বলে যে দেশগুলো আছে সেগুলোতেও রপ্তানী করতে পারি তাহলে অনেক আয় অর্জণ সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991