মোঃ আফ্ফান হোসাইন আজমীর, রংপুর ব্যুরো প্রধানঃ রংপুরে বসন্ত বাতাসে দোল খাচ্ছে হাড়িভাঙ্গা আমের মুকুল। হাড়িভাঙ্গা আমগাছের দিকে তাকিয়ে চাষিরা আগাম স্বপ্ন বুনছেন। প্রকৃতি বৈরী না হলেও এবারও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।
রংপুরের শ্যামপুর এলাকার আম চাষিরা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে আমের মুকুল এলে কৃষকরা আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঝড় কিংবা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভালো হবে। হাড়িভাঙ্গা আম এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রংপুরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ২১৫ হেক্টরের বেশি জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাড়িভাঙ্গার হয়েছে ১ হাজার ৮৮৭ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন হয় ২০ থেকে ২২ মেট্রিক টন। ৪ মাসের মধ্যে আম কৃষকের ঘরে ওঠে।
কৃষকরা বলেন, হাড়িভাঙ্গা আম বেশি দিন সংরক্ষণে রাখা যায় না। এই আম কীভাবে বেশি দিন সংরক্ষণে রাখা যাবে, এ নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। তাহলে এই আম বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।
রংপুরের মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জে গেলে চেখে পড়বে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুধু হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান। যেদিকে দু’চোখ যায়, সেদিকে শুধু বাগান আর বাগান। এমন কোনো বাড়ির আঙিনা, উঠান কিংবা ফসলি জমি নেই, যেখানে আমের গাছ রোপণ করেননি। এসব বাগান এখন আমের মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে। পথচাচিরা মুগ্ধ নয়নে আম বাগানের দোলা খাওয়া মুকুল দেখে বিমোহিত হচ্ছেন। সব মিলিয়ে প্রকৃতি বিরুপ না হলে, এবারও আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।