শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন
ঘোষনা
শেখ হাসিনার মামলায় প্রসিকিউশনের সর্বোচ্চ সাজা দাবি: বিচার, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের নতুন বাস্তবতা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ীরা নির্ধারণ করবে গণভোট কেমন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল বগুড়া উন্নয়নে ধানের শীষের বিজয় ছাড়া বিকল্প নেই — সাবেক ছাত্রনেতা আরমান হোসেন ডলার ঝিনাইদহে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ২ নীলফামারীর জলঢাকায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জে জনতার ঢল প্রত্যাশা—আগামীকাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশাল গণসংযোগ চুয়াডাঙ্গা জেলা জীবননগর উপজেলায় স্মার্টটিম প্রতিনিধিদের সাথে আউলিয়া বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মম হত্যাকাণ্ড: অটোরিকশাচালকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া চাঁনপুরে আশুগঞ্জে পৃথক দুটি অভিযানে ২১ কেজি গাঁজা উদ্ধার, তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার ঝিনাইদহের শৈলকূপায় প্রতিবন্ধী নাজমিনের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান আশুগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক দুইটি অভিযানে ১৬০০ (এক হাজার ছয়শত) পিস ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার। চুয়াডাঙ্গা জেলা জীবননগর উপজেলায় আ.লীগের নাশকতা ঠেকাতে গলাচিপায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি আমতলীতে বাসে অগ্নিসংযোগ: ছাত্রলীগ–যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৫ জন গ্রেফতার বাঙলা কলেজের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিজুল শেখের দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাজনৈতিক অঙ্গনে নজিরবিহীন ভূমিকা, সর্বত্র প্রশংসার জোয়ার ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত ঝিনাইদহে শেখ মুজিবের ‘এক তর্জনি’ স্তম্ভ গুড়িয়ে দিল ছাত্র-জনতা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যের আহ্বান আমিনুল হকের মনপুরায় ধানক্ষেত থেকে হরিণ শাবক উদ্ধার শিবগঞ্জে সাইকেল ও হুইল চেয়ার পেয়ে উচ্ছাসিত মেধাবী ও প্রতিবন্ধীরা

রাংগাবালী আদালত পরিদর্শনে জেলা ও দায়রাজজ শহিদুল ইসলাম — অবকাঠামো উন্নয়ন ও মিনি কারাগার নির্মাণের আশ্বাস

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৩৫ বার পঠিত

খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালী জেলার রাংগাবালী উপজেলায় নবগঠিত দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত পরিদর্শন করেছেন জেলা ও দায়রাজজ মো. শহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টায় তিনি পটুয়াখালী থেকে রাংগাবালী পৌঁছান। আদালত পরিদর্শন শেষে আগুনমুখা সাইক্লোন সেন্টার কাম কিল্ডার্স গার্ডেনের দ্বিতীয় তলায় এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোর্শেদ আলম, যুগ্ম জেলা ও দায়রাজজ ও সিনিয়র সরকারি জজ পটুয়াখালী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গলাচিপা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী জজ রাংগাবালী আলমগীর কবির, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাংগাবালী দোলন হাসান, রাংগাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম হাওলাদার, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. সালাউদ্দিন, পটুয়াখালী জেলা পিপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. মজিবুর রহমান টোটন, গলাচিপা আইনজীবী প্রতিনিধি সিনিয়র এ্যাড. মো. মোকলেছুর রহমান, সিনিয়র এ্যাড. মো. রাইসুল ইসলাম জাহিদ, সিনিয়র এ্যাড. মো. জসিম উদ্দিন, রাংগাবালী উপজেলার এজিপি এ্যাড. মো. মোশারফ হোসেন, সিনিয়র এ্যাড. মো. নূর আলম ফকু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম সজল, এ্যাড. মো. ইশতিয়াক আহমেদ ধ্রুব, এ্যাড. মো. আবু তাহেরসহ আরও অনেক আইনজীবী,
গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. ফেরদাউস মিয়াসহ রাংগাবালী আদালতের কর্মচারী ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. সালাউদ্দিন।

সভায় রাংগাবালীর এজিপি এ্যাড. মো. মোশারফ হোসেন নতুন আদালতের নানা সমস্যা তুলে ধরে বলেন, “এখানে এখনো টেকসই ভবন নেই, নেই পর্যাপ্ত ফার্নিচার বা নথিপত্র সংরক্ষণের ব্যবস্থা। একটি টিনসেট ঘরে আদালতের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, যেখানে বৃষ্টির পানি পড়ে নথি ভিজে যায়। এমনকি বাউন্ডারি ওয়াল পর্যন্ত নেই।”

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দোলন হাসান বলেন, “হাজতী আসামি রাখার কোন হাজতখানা নেই, মামলার জব্দকৃত মালামাল সংরক্ষণের ব্যবস্থাও অপ্রতুল। জনবল সংকটও রয়েছে।”

গলাচিপা প্রতিনিধি এ্যাড. মো. মোকলেছুর রহমান জানান, “জেলা বারের পক্ষ থেকে ওকালতনামা বিক্রির জন্য একজন পিয়ন নিয়োগ দিলে আইনজীবীদের ভোগান্তি অনেকটা কমবে।”

এ্যাড. মো. আবু তাহের বলেন, “রাংগাবালীতে দেওয়ানী আদালত চালু হলেও অনেক মামলা এখনও পটুয়াখালীতে রয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত সেই মামলাগুলো রাংগাবালীতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন।”

পটুয়াখালী জেলা পিপি ও বিএনপি জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. মজিবুর রহমান টোটন বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার তড়িঘড়ি করে অবকাঠামো প্রস্তুত না করেই আদালত চালু করেছে। আগে ভবন, ফার্নিচার, ও আবাসনের ব্যবস্থা করে আদালত শুরু করা উচিত ছিল।”

পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “একটি টিনসেট ভবনে আদালত চালানো সম্ভব নয়। আগুনমুখা সাইক্লোন সেন্টার ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়—তখন আদালতের কার্যক্রম চলবে নাকি মানুষ আশ্রয় নেবে? তাই টেকসই ভবন নির্মাণ জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “রাংগাবালীর আইনজীবীরা যেন টাউট ও দালালদের আশ্রয় না দেন, কোন টাউন ও দালাল পেলে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”

চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোর্শেদ আলম বলেন, “আদালত যেহেতু শুরু হয়েছে, এখন এটাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। কাছাকাছি যদি কোনো পাকা ভবন ভাড়া পাওয়া যায়, জানালে আমরা প্রয়োজনীয় আসবাবসহ সব ব্যবস্থা করে দেব।”

প্রধান অতিথি জেলা ও দায়রাজজ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “এই দ্বীপাঞ্চলে আদালত স্থানান্তরের ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে, তবে অবকাঠামো উন্নয়ন করে শুরু করা হলে আরও ভালো হতো। এখান থেকে নদী পাড়ি দিয়ে হাজতি আসামি জেলা কারাগারে নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এখানে একটি মিনি কারাগার নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি আরও আশ্বাস দেন, “আদালত ভবনসহ যাবতীয় সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
সভা শেষে জেলা চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অফিসের নথিপত্র পর্যালোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাংগাবালী উপজেলা আদালতের পেশকার মো সোহেল এবং কর্মচারীবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991