মোঃ কবির হাওলাদার স্টেপ রিপোর্টার: পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মানাধীন ভবনের ছাদ ধ্বংসে পরেছে। ঘটনার সময় ছিলোনা স্বাস্থ্য বিভাগের কোন প্রকৌশলী। অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই চলছে ভবনের নির্মাণ কাজ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চলছিল রাঙ্গাবালী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মানাধীন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। সন্ধ্যার পরে হঠাৎ নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের সামনের অংশ ধ্বংসে পরে। বিকট শব্দে ছুটে আসে আশপাশের লোকজন। অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কোন প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই অনেক দিন ধরে নির্মাণ চলছে ভবনটিতে। তদারকির জন্য একজন প্রকৌশলী নিয়োগ করা থাকলেও বেশির ভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন তিনি। ছাদ ধ্বসের ঘটনার সময়ও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের না কোন প্রকৌশলী।স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের কাজের কারণেই ঘটেছে এ দূর্ঘটনা। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মো.রাহাত জানান, ভবন নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। তবে শ্রমিকদের গাফিলতির কারণে সেন্টারিংয়ে তত্রুটির কারণে ঘটেছে এ দূর্ঘটনা।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এঘটনায় উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে বক্তব্য নিতে জেলা সিভিল সার্জন ডা.এসএম কবির হোসেনের মুঠোফোনে বারবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।২০১২ সালে রাঙ্গাবালী উপজেলা গঠিত হলেও দীর্ঘদিনেও এখানে নির্মাণ হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে চরাঞ্চলের দুই লাখ মানুষে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মান শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর নির্মাণ কাজ পায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের মালিকানাধীন প্রাইম কনস্ট্রাকশন। ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের ভবনটির নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে ২২ কোটি টাকা।