মোঃ কবির হাওলাদার স্টাব রিপোর্টর: পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের সংরক্ষিত সোনারচর অভয়ারণ্যের খালে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে সোনারচরের একটি খালে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি তাদের জানা নেই বলে জানালেন বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা। জানা গেছে, শুক্রবার ওই ইউনিয়নের নয়ারচর গ্রামের রশাদ বয়াতি দুই জেলে ট্রলারে নিজ এলাকার ১৪ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সোনাচরের বাইলার খালে মাছ ধরতে যায়। এই খবর পেয়ে একই ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামের সেলিম ব্যাপারীর পক্ষের লোকজন গিয়ে তাদের মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিত হয়।
একপর্যায় সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এই সংঘর্ষে নয়ারচর গ্রামের জুয়েল পাটোয়ারী (২৩), লিটন বয়াতী (২৪), চরআন্ডা গ্রামের রাব্বি (১৮), নূর আলম (২৩), হৃদয় (২৩) ও এনামুল (২৪) আহত হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকৎসা দিয়ে রাব্বি, নূর আলম ও হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে নয়ারচর গ্রামের রাশাদ বয়াতি বলেন, ‘ইউএনও স্যার সোনারচরের খাল-নালা উন্মুক্ত করেছেন শুনেছি। তাই দুই-তিনদিন আমরা সোনারচরে গিয়ে মাছ ধরি। কিন্তু শুক্রবার রাতে সেলিম ব্যাপারী খাল ডাক (ইজারা) রেখেছে বলে কিছু লোকজন আমাদের বাঁধা দেয়। মারধর করে দুইটা ট্রলার, জালছামানা, ১২-১৩টি মোবাইল ও প্রায় এক শ’ কেজি মাছ রেখে দেয় তারা।’ চরআন্ডা গ্রামের সেলিম ব্যাপারী বলেন, ‘বন বিভাগের কাছ থেকে এই খাল আমি ডাক (ইজারা) রাখছি। যারা গিয়ে মাছ ধরতে বাঁধা দিছে তারা আমার লোক না।
আমি তাদের যেতেও বলি নাই। আমার কাছ থেকে তারা শুধু ডাক নিয়ে মাছ ধরে। কিন্তু অন্যপক্ষ নাকি বিষ দিয়ে মাছ ধরায় তারা বাঁধা দিছে। এনিয়ে গ্যাঞ্জাম হয়েছে শুনেছি।’চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সজল কান্তি দাস বলেন, ‘এক পক্ষ বিষ দিয়ে মাছ ধরতে গেলে অন্য পক্ষ প্রতিহত করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়।
এইসময় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা জাল নৌকা ফেলে যায়। ওই জাল নৌকা ও রিপকট (কীটনাশক) গ্রাম পুলিশের হেফাজতে আছে। আমরা সেগুলো উদ্ধার করবো। একপক্ষ অভিযোগ দিয়েছে শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।’ এ ব্যাপরে বন বিভাগের চরমোন্তাজ রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি পটুয়াখালীতে আছি। সংরক্ষিত বনের ভেতরের খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। গত ৩ বছর ধরে আমরা কোন ধরণের পাসপারমিট (অনুমতি) দিচ্ছি না।