মোঃ ইলিয়াস শেখ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বার বার সভাপতি বার বার নির্বাচিত এমপি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সফল পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জননেতা মো. মাহবুবুর রহমান পটুয়াখালী-৪ আসনে রয়েছে আকাশ সমান জনসমর্থন ।
জন্মগতভাবে তিঁনি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে মুজিব আদর্শকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। তার শ্রদ্ধেয় পিতা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইসমাইল তালুকদার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সক্রিয় রাজনৈতিক সহচর ছিলেন। তাঁর পিতার মৃত্যুতে রাজনৈতিক শুন্যতায় একমাত্র তাঁকেই নেতৃত্বের শুন্যতা পূরণে এগিয়ে আসতে হয়েছে। মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং তাঁর পিতা প্রায় ৬০ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নানা সময় বিএনপি জামায়াত ও আওয়ামী লীগের নামধারী নেতৃত্বহীন কতিপয় অতি উৎসাহীদের ষড়যন্ত্রে পরে তাঁকে রাজনৈতিক হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে।
কোন ষড়যন্ত্রই তাঁকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। দক্ষিণ অঞ্চলের বর্ণাঢ্য উন্নয়নের মহাকবি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত মো. মাহবুবুর রহমান ১১৪ পটুযাখালী-৪ আসন থেকে ৮ম, ৯ম ও ১০ম সংসদ নির্বাচনে একমাত্র জনগণের ভালোবাসা নিয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন- সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর, ১৩২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলস, শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল সেতুসহ উন্নয়নমূলক ও সেবামূলক কাজগুলো তিনি নিজ হাতে বাস্তবায়ন করেছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণকে সাথে নিয়ে দক্ষতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। সর্ব কাজে অভিজ্ঞ এই নেতা বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জনগণের চাষযোগ্য ও বসবাসের ভিটে বাড়ি প্রকল্পের আওতায় সরকারি অবকাঠামো নির্মিত কাজে সরকারকে দিতে হয়েছে। যা মো. মাহবুবুর রহমানের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা হতে পারেনি এবং হারাতে দেয়নি জনগণের মনোবল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ভিটে বাড়ি হারানো সবাইকে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করে প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে স্বপ্নের ঠিকানা।
এই নৌকা কান্ডারী মানুষটি তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে নেতাকর্মী এবং তৃণমূল নৌকাপ্রিয় সাধারণ জনগণের যেভাবে ভালোবাসা পেয়েছেন তাতে তিঁনি বর্তমানে রাজনীতির যে কোন দুর্বৃত্ত দশা থেকে অতি সহজেই বেরিয়ে আসতে পারবেন এটা একেবারেই নিশ্চিত।
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসা এবং বর্তমান চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও দক্ষিণ জনপদে শতাব্দীর অন্যতম উপহার জননেতা মো. মাহবুবুর রহমানকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে খুবই দরকার।।
দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে মাহবুবুর রহমান-এর বিকল্প নাই। তাঁর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ভূমিকা, ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম, শোষণমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য দৃঢ় অবস্থান গ্রহণে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী উপজেলা ও মহিপুর থানার জনগণকে পূর্বের ন্যায় শান্তি ও স্বাধীনভাবে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে নতুনভাবে উদ্বুদ্ধ করে তুলতে পারবে ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগের ৯ম ও ১০ম সংসদ মেয়াদে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় মাহবুবুর রহমানের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে কোন লুটপাট, জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাসী রাজত্ব, টেন্ডারবাজী ও চাঁদাবাজী হতে পারেনি যার ফলশ্রুতিতে বাধাহীনভাবে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে যা ইতিহাসের পাতায় আজীবন লেখা থাকবে। ১১৪ পটুয়াখালী-৪ তথা কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার জনগণের প্রিয় মানুষ, আকাশ সমান জনসমর্থন, বিকল্পহীন নেতৃত্ব মেধাবী রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমানকে সর্ব দক্ষিণের নৌকাপ্রিয় জনগণ এমপি হিসেবে পেতে চায়।
“সত্যের সাথে মিথ্যের হয় না তুলনা,সত্য কখনো প্রমাণের অপেক্ষা করে না।ভালো মন্দের দ্বন্দ্বে বাড়বে ভালোর মান,জনগণের প্রিয় ব্যক্তিত্ব মাহবুবুর রহমান।