রাজশাহীর ভদ্রা জামালপুর জামে মসজিদের পাশে নিজ বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষ থেকে মুর্শিদা আনুমানিক (২৩) নামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নিজ বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার এই ঘটনা ঘটে।
মুর্শিদা ওই এলাকার মাজদার এর বড় মেয়ে বলে জানা গেছে । এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, মুর্শিদা- ঋতু নামের একটি মেয়ের সাথে মেলামেশা করতো। সব সময় তার সাথে থাকতো। আর ওই মেয়ের সাথে ঘুরে বেড়ানোর জন্য মুর্শিদার মায়ের সাথে কয়েকদিন থেকে ঝগড়া বিবাদও হতো।
মুর্শিদার মা জানান, তার মেয়ে ঋতুর সাথে ঘুরে বেড়াতো আর নেশা করতো। আমি তাকে এটা নিয়ে নিষেধ করলে উল্টো আমাকে মারধর করতো।
পরবর্তীতে মুর্শিদার বাবার সাথে কথা বলে জানা যায়, সে একজন চা বিক্রেতা, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে চা ব্যবসা করতে দোকানে যায়। তখন তার মেয়ে মুর্শিদা তার কাছে ১০০টাকা চেয়েছিলো। তার বাবা তাকে ওই টাকাটা নিয়ে যেতে বলেছিলো। তারপরে তার বাবা জানতে পারে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পরিবারের সবার অজান্তে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মুর্শিদা। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে চন্দ্রিমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে এটি আত্মহত্যা। তবে বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই আমরা আপনাদের পূর্ণ তথ্য জানাতে পারবো। তবে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার