নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে সার্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১০ টা থেকে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরকারের সার্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বিষয়ক সকল সুযোগ সুবিধা সহ কীভাবে ও কারা এর আওতায় আসবেন সেই বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহানা পারভীন।
যুগ্ম সচিব জানান, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রান্তিক মানুষের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ের আইসিটি সেন্টারগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এইসব সেন্টারে বসে প্রান্তিক পর্যায়ের নাগরিক সার্বজনীন পেনশন স্কিমের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। সেবার আওতায় আসতে একজন নাগরিককে নুন্যতম ১৫ বছর নির্ধারিত হারে মাসিক চাঁদা প্রদান করতে হবে। এর পর সেবা গ্রহীতার ষাট বছর অতিবাহিত হলে ১৫ বছর পর্যন্ত পেনশনের টাকা পাবেন। দেশের সকল নাগরিককে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আনতে বর্তমান সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ইউপেনশন ডটগভডটবিডি সরকারি এই ওয়েব সাইট থেকে সার্বজনীন পেনশন স্কিমে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে।
এসময় উপস্থিত অতিথিবৃন্দের নানা প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন অর্থমন্ত্রণালয়ের এই যুগ্ম সচিব। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। সার্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সরকার অসীম কুমার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সাবিহা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিসুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলীসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বজনীন পেনশনের উদ্বোধন করেন। দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।