নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিইউপি) সেচ নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের এক গভীর নলকূপ অপারেটরের বিরুদ্ধে। কৃষকদের অভিযোগ, অপারেটর মোঃ পিন্টু বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রিপেইড কার্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি না দিয়ে প্রতি বিঘা জমির জন্য ১৫০০ টাকা নগদ দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক ও জমির মালিক জানান, “আমার বর্গাদার হাবিবুর রহমান হাবিব আজ (৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) নলকূপ অপারেটর পিন্টুর কাছে সেচের জন্য গেলে তিনি প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে পানি দিতে অস্বীকার করেন। বরং প্রতি বিঘার জন্য ১৫০০ টাকা নগদ দাবি করেন, যা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ নীতিমালা ২০০৮ অনুযায়ী, কোনো অপারেটর নগদ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন না। নীতিমালায় বলা হয়েছে, “অপারেটর কোনো অবস্থাতেই নগদ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে সেচ প্রদান করতে পারবেন না। নগদ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে সেচ প্রদান করলে বা অসদুপায় অবলম্বন করলে বা সেচ কাজে বিঘ্ন ঘটালে তার জমানত বাজেয়াপ্তসহ অপারেটর পদে নিয়োগ বাতিল করা হবে।”
স্থানীয় কৃষকরা জানান, পিন্টু অপারেটরের এমন আচরণে তারা বিপাকে পড়েছেন। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত নিয়মে প্রিপেইড কার্ড থাকা সত্ত্বেও নগদ টাকা দিয়ে সেচ নিতে বাধ্য হওয়া তাদের জন্য বাড়তি আর্থিক চাপ তৈরি করছে।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, “এ ধরনের অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। যদি কোনো অপারেটর নিয়ম ভঙ্গ করে, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কৃষকরা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, দ্রুত এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং সেচ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিক করা হোক, যাতে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়।