নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী কারাগারে পর পর দুই জন হাজতির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়া দহ গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেল রুহুল আমিন ওরফে রুহুল ঘাটাল (৫৯) । আরেকজন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হলুদঘর গ্রামের সরমান আলীর ছেলে জাকির হোসেন (৫৫)।
খবর নিয়ে জানাগেছে, রুহুল আমিন চলতি বছরের মে মাসের ২০ তারিখে মাদক মামলার আসামী হয়ে কারাগারে প্রবেশ করেছিল। কারাগারে এতদিন স্বাভাবিক থাকলেও গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ তার বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। এরপর কারা হাসপাতালে তাকে প্রাথামিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে মৃত্যু ঝুকি বুঝতে পেরে রাত ৩.৫৫ মি: দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন করা কর্তৃপক্ষ। পরে রুহুল আমিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪.২০ মি: মারা যান। অপরদিকে নাটোরের আরেক হাজতি জাকির হোসেনের মৃত্যুও হয়েছে রামেক হাসপাতালে। তিনি গত ২ সেপ্টেম্বর ৪২০ ধারার মামলা নিয়ে নাটোর কারাগারে প্রবেশ করেছিল। সেখানে তিনি অসুস্থ্য হলে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্য ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ২.৪০ মি: রাজশাহী কারাগার হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০.১৫ মি: মারা যান।
তবে রুহুন আমিনের মৃত্যুর নিয়ে চরম কানাঘুষা শুরু হয়েছে। এলাকাবাসির দাবি রুহুল আমিন বিএনপি সরকার থাকাকালীন ঘাটের সাথে জড়িত ছিল। পরে এই সরকার আসার পর তার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। বর্তমানে তার পরিবার অন্যের সহযোগিতা নিয়ে চলছে। তার কোন শারিরিক সমস্যা ছিলনা। তিনি সুস্থ্য স্বাভাবিক ছিলেন। অথচ আজ তার মৃত্যুর খবর পাচ্ছি! এই মৃত্যু আমাদের সন্দেহের সৃষ্টি করছে। কারাগারে কি তার সাথে খারাপ কিছু হয়েছে?
এব্যাপারে রাজশাহী কারাগারের জেলার নিজাম উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ বিব্রত। গতকাল অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর উদ্বোধন হলো অথচ আজ এমন ঘটনা, সত্যিই দুঃখজনক! তবে আমাদের এখানে কয়েদি এবং হাজতি তারা খুব ভাল থাকেন। আমরা সব সময় তাদের সকল বিষয়ে খোঁজ খবর রাখি। রুহুল আমিনের অসুস্থ’র খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে পরে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যু বরণ করেন।