বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১৯ অপরাহ্ন

রাজশাহী নগরীতে রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা, হাতুরি পিটায় আহত এক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৯১ বার পঠিত

জুয়েল আহমেদ : রাজশাহী নগরীতে মাদক সেবন ও কিশোরগ্যাং কালচার নিরুউৎসাহিত করার প্রতিবাদ করায় নগরীর শাহমুখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম মোস্তফার রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (৯ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১০টার সময়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর হামলার বিষয়টি মোস্তফা জানালে পুলিশের সহযোগিতায় সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কার্যালয়ে হামলার রেশ না কাটতেই আজ (১০ অক্টোবর) দুপুরে আবারও দেশীও ধারালো অস্ত্র ও হাতুরি দিয়ে হামলা চালিয়ে অবসিক দাস আয়ন নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর মাথা ফাটিয়ে ক্ষমতার জানান দেয় রাতের হামলাকারি দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিয়ে মহানগরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও থানা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম মোস্তফা বলেন, আমার বাড়ি শাহমুখদুম থানা সংলগ্ন এলাকায়। আমি দীর্ঘদিন এই এলাকায় মাদক বিরোধী কার্যক্রমের সাথে কাজ করছি। এই কারণে এই এলাকার বিখ্যাত ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আঃ মজিদের ছেলে রাজিব মোল্লার চক্ষুশুল হয়েছি। এই এলাকায় আমার রাজনৈতিক সুনাম রয়েছে কিন্তু এই রাজিব মাদক দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। আমি তাকে বার বার নিষেধ করেছি। ফল হিসেবে সে আমাকে শত্রুতে রুপান্তরিত করেছে। রাজিব কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজিব ও তার পুরো পরিবার বিএনপি করে। সে যুবদলের ক্যাডার নামে পরিচিত কিন্তু অনেকে মাদক রাজিব নামেও চেনে। হামলার সময় তার ছোটভাই রাসেল উপস্থিত ছিল। আমার নিরাপরাধ কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আবার পরের দিন দুপুরে আমার স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীকে হাতুরি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত অবসিক দাস অয়নের সাথে (জ্ঞান ফিরলে) কথা বললে তিনি জানান, আমি ও মোস্তফা ভাই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। গতকাল রাতে কিছু বখাটে আমাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে একবার হামলা করেছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা করবো বললে, তারা পরিকল্পিতভাবে দুপুর আনুমানিক ২.৪৫ টার দিকে পেছন থেকে আমাকে হাতুরি দিয়ে মারধর করে। পরে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি রাজিবের চাচাত ভাই আরিফ সহ কয়েকজন। তাদের সকলের হাতে ছিল ধারলো অস্ত্র, লোহার রড ও লোহার পাইপ। তবে আরিফের হাতে থাকা হাতুরি দিয়ে প্রথম আঘাত করেছে। পিছন ফিরলে আমাকে এলোপাতারি মারধর শুরু করে। পরে আমি চিৎকার দিয়ে দৌঁড় দেই। এলাকার মানুষ তাৎক্ষণিক আমাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে ভর্তি করে। তবে রাজিব মোল্লার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তাকে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে মহানগরীর মাহমুখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, গত রাতে একটি ঘটনা ঘটেছে সত্য। সেখানে আমাদের পুলিশ উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করেছে। আজ দুপুরেও মারধরের একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে ভিক্টিমরা আমার সাথে যোগাযোগ করেছে মামলা করার উদ্দেশ্যে। মামলা হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991