রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সরাই হাজীপুর গ্রামে পাঁকা রাস্তা নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম। এলাকাবাসীর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে বিভাগীয় প্রকৌশল অফিসের তদন্ত শুরু।
জানাযায়, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সরাই হাজীপুর গ্রামে রায়গঞ্জ থানা রোড হতে থানা ঘাট পর্যন্ত পাঁকা রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়।
নির্মাণকাজটির কার্যাদেশ পায় মেসার্স সুমি-শরীফ এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ মোঃ মনজুরুল হক শরীফ। কার্যাদেশ পাওয়ার পর বাস্তায় থাকা হ্যায়ারিং বন্ডের ভালো মানের ইট গুলো রাস্তা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। পরে ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার যোগসাজশ করে WBM তৈরি করার জন্য নিম্নমানের পঁচা খোয়া লোকজন দিয়ে রাস্তায় ব্যবহার করতে থাকে। এই নিম্নমানের পঁচা খোয়া বাতিলের দাবিতে গত ২০-০৭-২০২২ইং এলাকাবাসী রাস্তায় সমবেত হয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। উক্ত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশটি ফেসবুক থেকে ভাইরাল হওয়ায় প্রকৌশল দপ্তরের টনক নড়ে। পরে রাজশাহী বিভাগীয় প্রকৌশলী অফিস থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গত ২১-০৭-২০২২ইং তারিখে উক্ত রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শনে করেন। পরিদর্শন কালে তারা নিম্নমানের ইট ও খোয়া দেখতে পান। এরই আলোকে সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ৪৬০২.৮৮০০.০০০.১৪.১৫৩৭.২২.২৭০৩০ স্মারকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাস্তায় বিছানো নিম্নমানের খোয়া গুলো অপসরণের নির্দেশ দেন। সেই সাথে তদন্ত কমিটি পঁচা খোয়া ও ইটের আলামত পরীক্ষার জন্য বস্তায় ভরে গাড়ী উঠান।
এ ব্যাপারে সরাই হাজীপুর গ্রামের গ্রাম্য প্রধান আব্দুর রশিদ খান, আয়ুব আলী খান, কামরুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সহ সকল প্রতিবাদকারীরা তদন্ত টিম কর্তৃক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তদন্ত টিমকে সাধুবাদ জানায়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পঁচা খোয়া বিছানোর বিষয়ে আমি কিছু জানিনা তবে শুনেছি রাস্তায় পঁচা খোয়া বিছানো হয়েছে। পরে আমি সারারাত জেগে ঐ পঁচা খোয়া সরিয়ে ফেলেছি।
এ বিষয় রাজশাহী বিভাগীয় প্রকৌশলী কে.এম জুলফিকার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত রাস্তাটি পরিদর্শনের জন্য সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের নের্তৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছে।