নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী শিরোইল ঢাকা বাসস্ট্যান্ড গোধুলী মার্কেটের নীচতলায় প্রতি রাতে জুয়ার আসর বসে। আর এই জুয়ার আসর পরিচালনা করেন আরিফ হোসেন (৪৫) এবং এই রুম ভাড়া করে জুয়ার আসর বসান রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আরিফ শেখ।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাত পৌনে বারোটার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শিরোইল ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে জুয়া খেলার তাস, জুয়া খেলার নগদ এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১০ জুলাই) সকালে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সকল সকল তথ্য জানানো হয়।
জুয়ার বোর্ড থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সেলিম রেজা (৩৮), হাবিবুর রহমান বিপ্লব (৪২), আলীউল আজিম (৪২), সোহেল রানা (৩৫), মেহেদী হাসান দীপু (৩৬), আবদুর রশিদ (৪৩), শফিকুল ইসলাম (৪৫), সাগর শেখ (৪২), বেলাল হোসেন (৫২), ছামিউল ইসলাম জনি (৩২), খোকন (৫০), শাহীন আলী (৪৩), হাবিবুর রহমান (৫৮), গিয়াস উদ্দিন (৪৫), মুক্তার হোসেন মুক্তা (৩৮), আলমগীর হোসেন (৪৫), সম্রাট (২৮), দীপক কুমার সরকার (৩৫), মাসুদ রানা (৩৮), হায়দার আলী (৬২), রফিকুল ইসলাম (৩৭) ও জিয়াউর রহমান (৩৪)।
র্যাব-৫ আরোও জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বাস স্ট্যান্ড গোধূলি মার্কেটে নিচতলায় অপারেশন পরিচালনা করা হয়। জুয়া খেলা অবস্থায় ২২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাবের সদস্যরা। এ সময় বিভিন্ন রঙের ৪৭ প্যাকেট তাস, জুয়া খেলার আসরে প্রাপ্ত নগদ এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৭০ টাকা, ২৪টি মোবাইল ফোন, ৩৫টি সিম কার্ড এবং দুইটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামিরা স্বীকার করে যে, পরিবহন শ্রমিক নেতা আরিফ শেখের তত্ত্বাবধানে তার ভাড়া করা একটি রুমে টাকার বিনিময়ে নিয়মিত জুয়া খেলে। তবে মুলহোতা আরিফ শেখ পলাতক আছে। অভিযানের সময়ও জুয়া খেলছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় জুয়া আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য আরিফ শেখ রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ২০২৩ সালে নির্বাচন করে যুগ্মসম্পাদক পদে জয়লাভ করে। এর আগে তিনি শিরোইল কাঁচা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি করতেন। তার ছেলে মনিরুজ্জামান মনি ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠার সময় থেকে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, ধর্ষণ, অপহরনসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।