নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগামীকাল রাজশাহী সিটি নির্বাচন, ইভিএমে ভোটগ্রহণ, নজরদারি সিসিটিভি ক্যামেরা।
রাত পোহালেই রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের ভোট। এই সিটিতেও এবার ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। থাকবে প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভির নজরদারি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার গতকাল সোমবার (১৯ জুন) রাতেই শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ১০টা থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। ভোট অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
রাজশাহীতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচম খায়রুজ্জামান লিটনের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। সে কারণে মেয়র হওয়া শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা বলেই মনে করছেন অধিকাংশ মানুষ। এ সিটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই দুই সিটির নির্বাচন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সরে দাঁড়ানোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে মূলত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে।
রাজশাহী সিটির ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন। আর নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। নতুন ভোটার রয়েছেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, ভোটের দিন সব কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু কেন্দ্রের গুরুত্ব একটু বেশি থাকে। এসব কেন্দ্রে ছয় থেকে সাতজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এছাড়া আনসার সদস্যরাও কেন্দ্রে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন।
র্যাব-৫-এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, এরই মধ্যে ভোটের মাঠে র্যাব নেমেছে। ভোটের দিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ২৫০ জন র্যাব সদস্য মাঠে থাকবেন। কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে র্যাব সদস্যরা সেখানে যাবেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবেন। এর পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও মাঠে থাকবেন।