সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি না এলেও প্রতিদ্বন্দ্বী আরও আছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তবে বিএনপি এলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বাড়ত বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে রাজশাহী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন
এর আগে আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা প্রস্তুতিমূলক সভা করে নির্বাচন কমিশন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
রাশেদা সুলতানা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসছে না, কিন্তু প্রতিন্দ্বন্দ্বী তো আরও আছে। একবারে যে কেউ নাই তা না, উনারা এলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। আর কেউ যদি না আসে তার জন্য যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না- এ কথা তো বলা যাবে না, আরও প্রার্থীরা তো আছে। ইলেকশনে দুর্বল-সবল কিছু নেই। যিনি নির্বাচনে দাঁড়ান তিনি সবসময়ই সবল।
আজকের আলোচনা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে আমাদের কী কী করতে হবে সেসব নিয়ে প্রস্তুতিমূলক আলোচনা হলো। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু করতে করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এখন পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিংয়ের মতো বিশেষ কোনো তথ্য নেই।
ইভিএমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের ইলেকশনগুলো যে ইভিএম মেশিনে হয়েছে আর এখন যে ইভিএম মেশিন, সেসব কিন্তু এক মেশিন না। ইতোমধ্যে মেশিনে অনেক উৎকর্ষ হয়েছে। আর ধীরগতি হয় মূলত মহিলা ভোটারদের জন্য। তারা ভেতরে গিয়ে ভুলে যায়। বাইরে শেখানোর সময় খুব ভালো পারে, কিন্তু যখন ভেতরে যায় তখন অনেকেই ভুলে যায়। তখন তারা একটু সময় নেওয়ার কারণে আমাদের দেরি হয়। তবে দেরি হলেও কারও ভোট নেওয়া হয়নি এমন ঘটেনি।
রাশেদা বলেন, নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের বাইক চলাচলের বিষয়ে এই মুহূর্তে আপনাদের কিছুই বলবো না। কারণ বাইকের বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াধীন আছে।
এর আগে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ।