স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাছে আম বেশি হলে ক্ষেতে ধান বেশি হয়, এমনটাই ভাবেন গ্রামের মুরব্বিরা। ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার গাছে গাছে পাতার মুখে থোকায় থোকায় দুলছে আমের সোনালি মুকুল। সোনারঙা মুকুলগুলোর সুবাতাস ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ। হাড়িভাঙ্গা, খিড়সাপাতি, রূপালী, আম্রপালী, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, সূর্যপূরী, ফজলী সহ দেশিয় জাতের আমের মুকুলে ভরে গেছে আমগাছগুলো। চাষিরা আমের ফলন ধরে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। অধিকাংশ আম গাছে এ বছর অধিক পরিমাণে মুকুল ধরেছে। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত আম গাছের পরিচর্যা করছেন কৃষকরা।এতে আম চাষিরা গত বছরের তুলনায় এ বছর লাভের আশা করছেন।
উপজেলার ৪ নং লেহেম্বা ইউনিয়নের আমচাষি সফি জানান, এবছর আমাদের আমগাছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল ধরেছে। এখন পর্যন্ত আমের মুকুলে কোন রোগবালাই আক্রমণ করেনি। আবহাওয়াও ভালো। যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না আসে আশা করছেন ফলন ভালো হবে।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের মুকুলে গাছগুলো ছেয়ে গেছে। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে আমের ফলন অধিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।