নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ আলমের উপর মেয়রের ইন্দনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার চেষ্টা ও অশ্লীল গালগন্দের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পৌর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ আলম লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে।
সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পৌরকর্মকর্তা কর্মচারীদের ঈদ বোনাস না দিয়ে মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী কিছু বিল ভাউচার স্বাক্ষর করে বিভিন্ন ফান্ডের টাকা উত্তোলন করা জন্য পৌরনির্বাহী কর্মকর্তার উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু পৌরনির্বাহী কর্মকর্তা ওই সমস্ত বিল ভাউচারে স্বাক্ষর না করে কর্মচারীদের বেতন বোনাস দেওয়ার কথা বল্লেই শুরু হয় বিপত্তী। এতে মেয়র ক্ষীপ্ত হয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাকে ১০ মিনিটের আল্টিমিটাম দেন। এর কিছুক্ষন পর ২০ থেকে ২৫ জন বহিরাগত একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ নির্বাহী কর্মকর্তার রুমে ডুকে অশ্লীল গালমন্দ ও হামলা করার চেষ্টা করে। এ সময় পৌরসভা কর্মচারীরা সবাই এগিয়ে আসলে ওই বহিরাগত চিহৃত সন্ত্রাসীরা মেয়রের রুমে গিয়ে নিরাপদ অবস্থান নেন।
পরে মেয়র বহিরাগতদেরকে বাহির করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পৌর কর্মচারী সভাপতি জাকির হোসেন বাহার জানান, মেয়র পৌর কর্মচারীদেরকে একবছর যাবত কোন উৎস বোনাস দেননি, দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত বেতন বাকী রয়েছে। ফান্ডে টাকা থাকা শর্তেও কর্মচারীদেরকে বেতন বোনাস না দেওয়ায় পৌরনির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের বোনাসের জন্য নোট দেন। এতে মেয়র রাগ হয়ে যায়। এর কিছুক্ষন পর রুবেল ও নবাবের নেতৃত্বের ২০থেকে ২৫জনের একটি গ্রুপ এসে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার উপর ক্ষীপ্ত হয় ও গালমন্দ করে। এ সময় তিনি কৌশলে রুম ত্যাগ করে।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ আলম জানান, মেয়র ফান্ডে টাকা থাকা শর্তেও কর্মচারীদের ন্যায অধিকার বোনাস ও বেতন ভাতা না দিয়ে, পৌর নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজসে ভূয়া বিলভাউচার করে টাকা উত্তোলন করা চেষ্টা করে। এতে আমি স্বাক্ষর না করে কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস দাবী করি। এতে মেয়র ক্ষীপ্ত হয়ে ২০ থেকে ২৫ জন বহিরাগতদের মাধ্যমে আমাকে নাজেহাল করা চেষ্টা ও গালমন্দ করেন।
বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, পৌরনির্বাহী কর্মকর্তা জানুয়ারীতে অত্র পৌর সভায় যোগদানের পর থেকে কর্মচারীদের মধ্যে মতনৈক্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। আমি ২৬ তারিখে কর্মচারীদের ২ মাসের বেতন দেওয়ার নোট দেই। কিন্তু সে তা নাকরে কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং করার চেষ্টা করে। তাকে নাজেহালের চেষ্টা ও গালগন্দ করা এসব কথা মিথ্যা। কারন সেতো তখন পৌরসভায় ছিলনা। সেবা প্রত্যাশী ছাড়া কোন বহিরাগত পৌর সভায় আসেনি