সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বৈকুন্ঠপুর গ্রামের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের। অতপর গ্রাম্য শালিসে ইউপি সদস্য শিপনের সভাপতিত্বে ৭০ হাজার টাকায় দফারফা করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুনজন। এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্য জানান, শনিবার (১৭ সেপ্টম্বর) সকালে উপজেলার পাঙ্গাসী ইউপির বৈকন্ঠপুর গ্রামের আবুল কাসেমের বাড়িতে স্থানীয় ইউপি সদস্য শিপনের সভাপতিত্বে একটি শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা রায় ঘোষনা করা হয়। এদিকে এ রায় অস্বিকার জানিয়েছেন ধর্ষনের স্বীকার স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। স্কুল ছাত্রীর বাবা জাকির হোসেন অভিযোগ তুলে জানান, আমার মেয়ের বয়স মাত্র (১৩)। আমি রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। এদিকে একই ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামের নুরুর ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেনের সহযোগিতায় একই গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২০) প্রথমে আমার মেয়েকে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এক পর্যায়ে বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে তার বন্ধুৃ নাজমুলের বাড়িতে নিয়ে বসতবাড়িতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পৃর্বক ধর্ষন করে। লোক মারফত খবর পেয়ে আমি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নাজমুলের বাড়ি থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করি। এরপর কোন উপায় অন্ত না পেয়ে গত ১০ আগস্ট রায়গঞ্জ থানায় আমি বাদী হয়ে ধর্ষক তারিকুল ইসলাম সহ ৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করি। বর্তমানে এ মামলাটি তদন্তকারী অফিসার রায়গঞ্জ থানার এসআই সমর জানান, আজকের শালিসের বিষয়টি আমার জানা নেই তবে, ধর্ষন মামলার ৬ জন আসামী জামিনে রয়েছে। আর এঘটনার সাথে জরিত বাকীঁ ২ আসামী তারিকুল ও নাজমুল হোসেনকে প্রেফতারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শিপন হোসেন জানান, ধর্ষণ মামলার বিষয়ে আমরা এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা শালিসী বৈঠকের আয়োজন করে আমি ওই শালিসের সভাপতিত্ব করি এবং সাবেক ইউপি সদস্য আমিরকে দিয়ে ৭০ হাজার টাকার রায় ঘোষনা করি। এবিষয়ে পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু এর ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলোও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।