মোঃ রেজাউল করিম খান ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সাব-রেজিষ্ট্রারের হস্তক্ষেপে টাকা ফেরত পেলেন এক ভূক্তভোগী। গতকাল বুধবার (৮ নভেম্বর) টাকা ফেরত পেয়ে অবশেষে অভিযোগ কারী জাকির হোসেন জাকিউল্লা তার অভিযোগপত্রটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত দলিল লেখককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষীরতলা গ্রামের জাকির হোসেন জাকিউল্লা তার গ্রামের দলিল লেখক রিজওয়ান রশীদ ও তার সহযোগী মান্নান জমি ক্রয় বিক্রয়ের বিষয়ে সাব রেজিষ্ট্রারের অফিসের দলিল করার নামে কথিত প্রে-অডারের মাধ্যমে উৎস কর আদায় করেন। দলিল লেখক রিজওয়ান রশীদ তার সহযোগী মান্নানের মাধ্যমে ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জাকিউল্লার কাছ থেকে ভুল বুঝিয়ে বাটোয়ারা দলিলের উৎস কর আদায় করে এবং তা নিজ নামে নগদায়ন করে আত্মসাৎ করেন। অভিযোগ দায়ের হলে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক রায়গঞ্জ সাব রেজিস্ট্রিার সাগর দাশের হস্তক্ষেপে ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জাকির কে তার টাকা ফেরত দেন দলিল লেখক রিজওয়ান রশীদ। এব্যাপারে ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জাকিউল্লাহ জানান, গত ৮-০৬-২০২৩ ইং তারিখে তিনি রায়গঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রিজওয়ান রশীদের কাছে যান একখানা বাটোয়ারা দলিল করতে। দলিল লেখক তাকে জানান যে ১% উৎসে করের টাকা জমা করতে হবে। তার কথা মতো আমি উৎস করের টাকা তার কাছে দিলে তিনি তার সহযোগী মান্নান এর মাধ্যমে ব্যাংকে পে অর্ডার করেন। দলিল রেজিষ্ট্রারী হওয়ার পরে দলিলের নকল তুলে দেখতে পারি উৎস করের জায়গায় টাকার অংকের পরিমাণ কম থাকায় আমার সন্দেহ হয়। পরে এবিষয়ে উদ্বর্তন মহলের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করি। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার সাগর দাস বলেন, উৎসকরের টাকা ভুল বুঝিয়ে জমা দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট দলিল লেখক তার সহযোগীর দ্বারা তা উৎত্তোলন করে নেয়। পরে অভিযোগ দায়ের হলে আমি তদন্ত পূবক দ্রুত ভূক্তভোগী জাকির হোসেন জাকির উল্লাহ’র টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করি। সেই সাথে অভিযুক্ত দলিল লেখক রিজওয়ান রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা সাব রেজিষ্টার মো: জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগকারী জাকির হোসেন জাকিউল্লা টাকা ফেরত পেয়ে তার অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সেই সাথে দলিল লেখককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।