শাহ মোঃ আব্দুল মোমেন,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ আজ সোমবার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ উপ-নিবার্চনের সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে।নির্বাচনের আর মাত্র এক দিন বাকি। ভোট নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের নানা সমীকরণ।
জয়ের জন্য প্রতিনিয়ত নিজেদের মতো করে কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন
প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীগণ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু (নৌকা) প্রতীক পেয়েছেন। অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসি (দোয়াতকলম), রৌমারী ইউনিয়নের
সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু (কাপপিরিচ ), আরএসডিএর সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইমান আলী ইমন (ঘোড়া), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাইদুল ইসলাম মিনু (হেলিকপ্টার), প্রভাষক মাইদুল ইসলাম (আনারস) ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক অফিসার আলমগীর হোসেন(মোটরসাইকেল)
প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়-
পরাজয়ে নিয়ামক বা ফ্যাক্টর কারা হবেন, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা নাকি দলীয় প্রতীক, গুরুজন নাকি তারুণ্য কাকে চেয়ারম্যান করবেন ভোটাররা পাড়া-মহল্লা জুড়ে এমনই আলোচনাই সবার মধ্যে।
তবে কাগজে কলমে ৭ প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনী মাঠে নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল ইসলাম মিনু এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (দোয়াতকলম) সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম শালু (কাপপিরিচ) সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য জাইদুল ইসলাম মিনু (হেলিকপ্টার), ইমান আলী ইমন (ঘোড়া), প্রতীকের মাঝে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে।
উল্লেখ্য যে,গত ৪ জুলাই ২০২২ তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ আকষ্মিক ভাবে মৃত্যু বরণ করলে রৌমারী উপজেলা পরিষদের আসনটি শুন্য হয়।
আগামী ২ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে উপজেলার ১ লাখ ৫৭ হাজার,১৫০ জন ভোটার ৬৯ টি কেন্দ্রের ৪৭৮টি বুথে ইলেক্ট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে
দেড় বছরের জন্য চেয়ারম্যান নিবার্চিত করবেন ভোটারগণ। উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন ৬৯জন প্রিজাইডিং অফিসার।