মোঃ শাহ্ ইমরান লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে বিশ হজার টাকা কিস্তি নিতে আসা মো. ইউনুস আলী (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখেন, জাবেদ হোসেন নামে এক চা-দোকান দার । ঘটনার ৭ দিন পর পুলিশ নিহত ব্যক্তি লাশ ও পুকুর থেকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। ঘাতক চা-দোকান দার জাবেদকে আটক করছে।
বৃহস্প্রতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে দশটায় পৌর শহরের ‘কালি হাজি সড়কের মিঝি বাড়ী সংলগ্ন’ ওই চা-দোকান দারের পিছন থেকে নিহত ইউনুস নামে ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে এবং দোকানের সামনের একটা পুকুর থেকে মৃত ইউনুস নামের ব্যক্তির ব্যবহার করা মোটরসাইকেল টি পুলিশ উদ্বার করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, সদর (সার্কেল) মো. সোহেল রানা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন।
নিহত ইউনুস আলী ফরিদপুর সদর উপজেলার সোভারামপুর গ্রামে মৃত আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে মৃত ইউনুস আলির একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (৭ নং ওয়ার্ড) সমসেরাবাদ এলাকায় গণি হেডমাস্টার সড়কে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। পাশাপাশি তিনি গ্রামীণ বাংলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির স্বত্বাধিকারী।
চা-দোকান দার জাবেদ হোসেন (৭নং ওয়ার্ড) সমসেরাবাদ এলাকার মিঝি বাড়ীর মৃত সফি উল্লাহর ছেলে।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে ইউনুস আলী নিখোঁজ হন। এবং তাহার মোবাইল পোন বন্দ ওই-রাতেই ইউনুস আলীর স্ত্রী সুলতানা জামান সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চা-দোকান দার জাবেদকে জিজ্ঞাসা বাদ করতে থানায় নিয়ে আসেন। জাবেদর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী (আজ) সকালে তার দোকানের পিছন থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং দোকানের সামনের পুকুর থেকে ইউনুস আলীর মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কিস্তির টাকা নিয়ে ইউনুস আলী ও জাবেদর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দোকান দার জাবেদ ইউনুস আলীর মাথায় বাড়ি দিলে সেই সাথে সাথে মারা যায়। দোকান দার জাবেদর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে সেই লক্ষীপুর থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।