বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ পুলিশসহ আহত অন্তত ২০।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৮ বার পঠিত

মাহবুবুর রহমান জিসান জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ এবং পুলিশের সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশ ও এক সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটকের কথা জানায় পুলিশ। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।

চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

আহতদের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন, কনস্টেবল মোজাম্মেল এবং আকবর হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আলাউদ্দিন নামে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী আহত হয়েছে। বাকী আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, গত দুই বছর থেকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে একই পদে পাল্টাপাল্টি নেতা অন্তভূক্ত করা হয়। এ নিয়ে বির্তক দেখা দিলে জেলা আওয়ামী লীগ প্রায় ১০ মাস আগে সেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। তবে বহিষ্কৃত নেতারা নিজেদের পদ ব্যবহার করে দলীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেত। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশের চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব তাদের নিজস্ব ফেজবুক পেজে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির একটি চিঠি প্রকাশ করে। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক বহিস্কৃত সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনকে সদস্য করা হয়। ফলে পূর্বের কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবিদার গিয়াস উদ্দিন লিঠন ও সাধারণ সম্পাদক দাবিদার কাজী সোলায়মান। ওইরাতে তাদের অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে তাদের অনুসারীরা পুনরায় বিক্ষোভ করে।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নেতৃত্বে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতাকর্মী ও তাদের দুই থেকে আড়াইশ অনুসারী চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল শেষ তারা আফজাল সড়কের মুখে জড়ো হয়ে বক্তৃতা দেন। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদ আলমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটর অনুসারীরা দলবদ্ধ হয়ে আনন্দ মিছিলে থাকা লোকজনের উপর হামলা করে। এসময় তাদের নিবৃত্ত করতে গিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মাঝে পড়ে আহত হয় চার পুলিশ সদস্য।

সংঘর্ষে জড়িতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আধাঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক সহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991