শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২২ অপরাহ্ন
ঘোষনা
মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গিয়াস উদ্দিন মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে।   জুলাই ঘোষণাপত্র সবার মতামতের ভিত্তিতে করতে চাই উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সৌজন্য সাক্ষাত, বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকেরিয়া হোসেন। বাসুদেবপুর ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  রাজশাহীতে (পুনাক) পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ গোদাগাড়ীতে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে উচ্চ আদালত বেকসুর খালাস দেওয়ায় নেএকোণায় আনন্দ মিছিল। Why Was Bally’s Rebranded As A Horseshoe? How To Be Able To Play The Crazy Time Casino Sport In South Africa Guide: Russian Roulette All An Individual Need To Know

লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক হত্যায় একজনের মৃত্যুদন্ড।

মো. রবিউস সানি আকাশ
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬২ বার পঠিত

লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার ১নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মো. আমিন (৩৭) নামে এক আসামিকে

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আমিনের উপস্থিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজুল হক মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

আমিন সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের বশির উল্যার ছেলে।

 

২০১৭ সালের ৩১ মার্চ রাতে ইউপি সদস্য ওমর ফারুককে ধারালো অস্ত্র ‍দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ছিলেন।

এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন ফারুক।

 

মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ইউপি সদস্য ওমর ফারুক শ্যামগঞ্জের পাটওয়ারী হাট বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে বাজারের পূর্ব পাশে বুড়ি বাড়ির পুকুর পাড়ে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আমিন হোসেন ধারালো ছুরি দিয়ে ওমর ফারুককে আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

 

এ ঘটনায় ওমর ফারুকের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪৮) বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজনকে আসামি করা হয়।

 

মামলায় বাদী ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সাবেক ইউপি সদস্য মুকবুল আহমেদকে দ্বিতীয় আসামি এবং মো. আমিনকে তৃতীয় আসামি করেন। ওই মামলায় পুলিশ মো. আমিনকে গ্রেফতার করে।

২০১৮ সালের ১১ মে আদালতে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আরেফিন। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনে মামলার তৃতীয় আসামি মো. আমিনকে একক অভিযুক্ত করেন এবং বাকি আসামিরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে উল্লেখ করেন।

 

প্রতিবেদনে তিনি জানান, একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক স্থানীয় মো. আমিনের ছোট ভাইকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন। টাকা পরিশোধ করতে তাদের জমি বিক্রি করতে হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মো. আমিন ইউপি সদস্য ওমর ফারুককে হত্যা করেন। হত্যা মামলায় অন্য আসামিদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জড়ানো হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন মামলার তদন্ত কর্কমর্তা।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায এই রায় প্রদান করেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991