রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
ঘোষনা
বিআরটিএ ও পরিবহন মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও জনসচেতনতা কার্যক্রম  দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির কামনায় অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র উপহার  মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গিয়াস উদ্দিন মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে।   জুলাই ঘোষণাপত্র সবার মতামতের ভিত্তিতে করতে চাই উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সৌজন্য সাক্ষাত, বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকেরিয়া হোসেন। বাসুদেবপুর ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  রাজশাহীতে (পুনাক) পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ গোদাগাড়ীতে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে উচ্চ আদালত বেকসুর খালাস দেওয়ায় নেএকোণায় আনন্দ মিছিল। Why Was Bally’s Rebranded As A Horseshoe?

লক্ষ্মীপুরে দরিদ্রদের টাকা নেওয়ার অভিযোগে চেয়ারম্যান নামে ইউএনও কাছে ভুক্তভোগীর অভি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬৪ বার পঠিত

মোঃ রবিউস সানি আকাশ স্টাফ রিপোর্টারঃ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে এক‌ই পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য (মেম্বার) অনাস্থা দিয়েছেন।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোছাইন আকন্দের কাছে লিখিতভাবে এ অনাস্থার চিঠি দেওয়া হয়। এতে ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের বেপরোয়া আচরণ এবং ৭ মাসে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ধরেন।

অনাস্থা চিঠিতে ইউপি সদস্য মাইন উদ্দিন ময়ুর, মহিন উদ্দিন ভূঁইয়া, গোলাম মাওলা, মো. ইব্রাহিম, ইব্রাহিম, মো. কামরুজ্জামান, জাবের হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জোসনা বেগম, কল্পনা রানী নাথ ও ইসরাত জাহান সই করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থ বছরের অতি-দরিদ্রের কর্মসংস্থান খাতের ৮২ জন শ্রমিকের নামে ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা ওয়াহিদুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রকল্প কমিটির সভাপতিরা কিছুই জানেন না। টিআর, কাবিখার ১০ লাখ টাকা, ৭ মাসে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন। এসব ক্ষেত্রে কত টাকা জমা হয়েছে-তাও নির্দিষ্টভাবে জানান না তিনি। পরিষদের বিভিন্ন নিয়মাবলী সম্পর্কে অবহিত করলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সচিব মিজানুর রহমানকে মারধর করতে উদ্যত হন। তিনি পরিষদের সদস্যদের সঙ্গেও বেপরোয়া আচরণ করেন। পরিষদের কক্ষ ঠিকাদারদের কাছে ভাড়া দিয়ে ১০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছেন। কিন্তু ওই টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা জমা দেননি। সালিস বাণিজ্যের অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। সদস্যদের সঙ্গে সভা না করেই তিনি এডিপি খাতে ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের তালিকা জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের গাফিলতির কারণে ইতিমধ্যে উন্নয়ন খাতের ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বরাদ্দ ফেরত গেছে। এর আগে চেয়ারম্যান থাকাকালীন বিভিন্ন অভিযোগে তাঁকে অনাস্থা দেওয়া হয়েছিল।

ওই পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন ময়ুর বলেন, ২৬ জানুয়ারি চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষদের সদস্যদের নিয়ে কোন সভা করা হয়নি। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করেন। বরাদ্ধ সঠিকভাবে বন্টন করেন না। আমাদের নামে বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে ভূয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন। এসব অনিয়মের কারণেই বাধ্য হয়েই আমরা অনাস্থা দিয়েছি।

পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান বলেন আমার বিরুদ্ধে ৩ টন নিউজ করেন, আমি এসব পরোয়া করি না।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সচিব মিজানুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান খামখেয়ালি-বেপরোয়া কথাবার্তা বলেন। তিনি কারো সঙ্গে সমন্বয় করেন না। এতে ইউনিয়নের লোকজন সেবা ও উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, অনাস্থার চিঠিটি পেয়েছি। একজন কর্মকর্তাকে এটি তদন্তের জন্য দেওয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991