রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন
ঘোষনা
দুর্গাপুরে যুবদলের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীত বস্ত্র বিতরণ ,শহীদ বিআরটিএ ও পরিবহন মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও জনসচেতনতা কার্যক্রম  দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির কামনায় অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র উপহার  মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গিয়াস উদ্দিন মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে।   জুলাই ঘোষণাপত্র সবার মতামতের ভিত্তিতে করতে চাই উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সৌজন্য সাক্ষাত, বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকেরিয়া হোসেন। বাসুদেবপুর ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  রাজশাহীতে (পুনাক) পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ গোদাগাড়ীতে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুর মৎস প্রজনন-প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কোয়াটারে ভাড়া না দিয়ে থাকছেন কর্মচারি।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৫৬ বার পঠিত

মোঃ রবিউস সানি আকাশ স্টাফ রিপোর্টারঃ একজনের নামের বরাদ্ধকৃত বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাসসহ সকল সুবিধা ভোগ করছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারি। শুধু বাসাই না, কর্মচারি মফিজ মজুমদার মাছের ব্যবসাসহ সকল কিছু অনিয়ম করে যাচ্ছেন তিনি। কোয়াটার সরকারী খাতায় শুন্য দেখানো হলেও ভাড়া না দিয়ে কোয়াটারে থাকছেন এই কর্মচারি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তবোগীরা জানান, উর্দ্ধতন কর্মকর্তা তার সুবিধার্থে একর্মচারিকেই না, সরকারি কাজে আসা অস্থায়ী কর্মকর্তাদের বিশ্রামের জন্য নির্মাণ করা রেষ্টহাউজ বাসা হিসেবে বরাদ্ধ দিচ্ছেন।।

মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কোয়াটার ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রে ১০টি ভবন ও-৪২টি আবাসন কক্ষ রয়েছে। মাত্র ১০ জনেন কর্মকর্তা-কর্মচারি ব্যাচেলর বা পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। অন্যগুলো পরিত্যাক্ত ও ঝুকিপুর্ণ রয়েছে। গার্ড মফিজ মজুমদার ২০১৫ সালে অবসর নেন। নিয়ম রয়েছে অবসরে যাওয়ার ৬ মাস কোয়াটারে থাকতে পারবেন। কিন্তু তিনি ৭ বছর নিয়মবহির্ভূতভাবে অপর গার্ড সুমন হোসেনকে ধোকাবাজি দিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস ও মাছের খাদ্য ও ভারতীয় ওষুধের ব্যবসা করে আসছেন। এছাড়াও সে নীজে, স্ত্রী ও ছেলের নামেও অবৈধ রশিদ করেও হ্যাচারির রেনু ও রমরমা ওষুধের ব্যবসা করছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নীরব রয়েছেন।

অন্যের নামে-কোয়াটারে থাকা অবসরপ্রাপ্ত গার্ড মফিজ মজুমদার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার বাড়ি রায়পুর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। স্যারহলেন (উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা) বলে বিশেষ সুবিধায় কোয়াটারে ৭ বছর ধরে আছি। তবে কোন ভাড়া কাটা হয় না। তিনি বললেই আমি চলে যাবো। বাসায় কোন ব্যবসা করিনা। রায়পুর শহরে মাছের খাদ্যের দোকান দিয়ে ব্যবসা করছি। প্রয়োজনের তাগিদেই তিনজনের নামে প্যাড করা হয়েছে।

কোয়াটার বরাদ্ধ নেয়া গার্ড সুমন হোসেন বলেন, হ্যাচারির পিছনেই আমার বাড়ি। আমি নিজ বাড়িতে থেকে অফিস করি। কিন্তু আমার নামে বরাদ্ধকৃত কোয়াটারে কিভাবে পরিবার নিয়ে থাকেন অবসরপ্রাপ্ত গার্ড মফিজ মজুমদার, তা বলতে পারছি না। তিনি এ জন্য প্রতি মাসে বেতনের কর্তনকৃত ৫ হাজার টাকা আমাকে দেন। বাসার যাবতীয় দায়িত্ব তার। আমি বাসা ছেড়ে দিতে আবেদনও করেছি। কিন্তু বড় স্যার কোন কথাই তো শুনেন না।

রায়পুর মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বলেন, অবসরপ্রাপ্ত গার্ড মফিজ মজুমদারকে অনেক আগেই কোয়াটারের বাসা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সে বাসা ছাড়ছে না। এবিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

স্থানীয় পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিল জাকির হোসেন নোমান বলেন, নিয়ম রয়েছে সরকারি কর্মচারিরা অবসরে যাওয়ার ৬ মাস পরে বাড়ী চলে যান কিন্তু ব্যাতিক্রম দেখলাম মফিজ মজুমদারের বেলায়। গত ৭ বছর কিভাবে অন্যের নামের বরাদ্ধকৃত বাসায় বসবাস এবং অবৈধ ব্যবসাও করছেন।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রকল্পের দুই হাজার ৪২৮ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়, দুই হাজার হেক্টর জমির বোরোপিট ও প্রধান খালগুলোতে মাছ চাষের লক্ষ্যে মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র করার উদ্যোগ নেয় সরকার। রুই-জাতীয় মাছের রেণু ও পোনা সরবরাহ করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালে এটি স্থাপন করা হয়। চার কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে করা রায়পুরের মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯২ সালে। ২১ দশমিক ৮৩ হেক্টর আয়তনের এ কেন্দ্রে মোট পুকুর আছে ৭৫টি। এখানে ৮৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুমোদিত পদ রয়েছে যানা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991