স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাটোরের লালপুরে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেটে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ২৮ই ডিসেম্বর চংধূপইল ইউনিয়ন থেকে লালপুর ইউনিয়নের মাধবপুর ঠাকুরমোড় পর্যন্ত এবং রামকৃষ্ণ পুর চিনিবটতলা থেকে বিলমাড়িয়া পর্যন্ত এই দীর্ঘ ৩৯ কিলোমিটার রাস্তার কাজের উদ্বোধন করা হয়। প্রায় দেড় বছর আগে এ রাস্তার কাজের উদ্বোধন করা হলেও ঠিকাদারের অবহেলায় রাস্তার কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে ভূক্তভূগী এলাকাবাসী বাকনা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে সুমন ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দীর্ঘদিন আগে রাস্তাটির কাজ করার উদ্দেশ্যে পিচ তুলে দিলেও কোনো ধরনের সংস্কার না করায় আরো বেশি দূর্ভোগে পড়েন স্থানীয় এলাকাবাসী , রাস্তাটি এভাবে রাখাই রাস্তার খোয়া উঠে রাস্তার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়, এতে রাস্তায় আরো বেশি ধোলা বালির সৃষ্টি হয় ,ধোলা বালি বাতাসের মাধ্যমে চালকের চোখে মুখে পড়ায় চালকরা গাড়ীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এতে দূর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটে। লালপুরের সব চেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা বলা হয় লালপুর থেকে বিলমাড়িয়াগামী রাস্তাটিকে, লালপুর উপজেলার সকল ইট ভাটা গড়ে উঠেছে এ রাস্তা কেন্দ্রীক ,ইট ভাটার সকল গাড়ী ট্রাক্টর,পাওয়ার টিলার এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে এবং লালপুরের সিংহ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল । লালপুরের পদ্মার চর এ রাস্তা কেন্দ্রীক হওয়ায়, পদ্মার চরে যত ধরনের ফসল উৎপাদন করা হয়ে থাকে সে সকল আবাদি ফসল বহন করা হয় এ রাস্তা দিয়ে ।এবং পদ্মার চরের সকল আঁখ নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে নিয়ে যাবার একমাত্র রাস্তা এটি। তাছাড়া বাকনা, মোমিনপুর,মহরকয়া ,বিলমাড়ীয়া,ভেল্লাবাড়িয়া,দুড়দুড়িয়া সহ নাওয়া পাড়া, চাঁনপুর সকল এলাকার জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি । সিংগেল রাস্তাটিতে এতো পরিমাণ চাপের কারণে জনগণ হিমসিম খাওয়ায় রাস্তাটিকে ৪ ফুট বৃদ্ধি করার প্রস্তাব আসলেও কোনো রকম ভাবে ৪ ফুট খনন করে রাস্তাটি বৃদ্ধি করলেও নিম্নমানের ইট, বালি, খোয়া দেওয়ার অভিযোগ তুলেন স্থানীয় এলাকা বাসী। রাস্তার কাজ কয়েক দিন করলেও নিয়মিত কাজ হয় না বলে জানান তাঁরা।