মোঃ রাসেল ব্যুরো প্রধান নাটোর :
নাটোরের লালপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় চরম অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে নার্স ও আয়া দিয়ে প্রসব করানোর পর এক নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ জুন। দক্ষিণ লালপুর এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল খানের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৩১) গর্ভবতী অবস্থায় ভর্তি হন লালপুর উপজেলার পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফারজানা ইসলাম বিভার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর তার প্রসব ব্যথা বেড়ে গেলে কর্তব্যরত নার্স ও আয়ারা চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতেই প্রসব করান।
নবজাতক জন্ম নিলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় কোনো চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে শিশুটিকে রাজশাহীর একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে পরদিন সকালে সে মারা যায়।
নবজাতকের স্বজনরা জানান, অবহেলার ফলে নবজাতকের গলা, মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের দাবি, চিকিৎসকের গাফিলতি ও হাসপাতালের অনিয়মিত ব্যবস্থাপনাই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।
এ ঘটনায় নিহত নবজাতকের মা জাহানারা খাতুন ২২ জুন রাত ১১টার দিকে লালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক সুলতানুজ্জামান টিপু (৫০), চিকিৎসক ফারজানা ইসলাম বিভা (৩৭) ও নার্স জান্নাত আক্তার (২৪)-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান জানিয়েছেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।