লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সিন্দুরমতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মাহমুদ হাসান ভূইয়া (৩৭) তার পিতা মোঃ এটিএম মহিউদ্দিন ভূইয়া (৬৫) এবং তার মাতা মোছাঃ মেহেরুন নেছা (৬০)
সহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইনের ২০২০ এর ১১(খ)/১১( গ)/ ৩০ ধারায়
লালমনিনরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। যার নম্বর ৬১ তারিখ২৯/০৩/২০২২ ইং। বর্ণিত এজাহার সুত্রে জানাগেছে ২০১৫ সালে ২ এপ্রিল সাংবাদিক বদিয়ার রহমানের একমাত্র মেয়ে আশামনির সাথে কাবিনমুলে আনুষ্ঠানিক ভাবে এটি এম মহিউদ্দিন এর দ্বিতীয় ছেলের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহর সময় স্বর্ণালঙ্কারও তৈজসপত্র সহ বিবাহ বিদায় দেয়। বিবাহের পর থেকে স্বামী স্ত্রী ঘড় সংসার করতে থাকে। শ্বশুর শ্বাশুড়ি সহ একই বসত বাড়িতে থাকেন তারা। প্রথম সন্তান জন্মের পর ১নং আসামি ২ নং আসামির কু-পরামর্শে গৃহবধু আশামনিকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসেন। শত নির্যাতন সহ্য করিয়া মেয়ে ১নং আসামির সাথে ঘড় সংসার করতে থাকে। উক্ত বিষয় নিয়ে কয়েকবার শালিশ বৈঠক ও হয়। কয়েকবার শালিশ বৈঠকে আর নির্যাতন করবেনা বলে আসামিরা জানায়। পরে মেয়ে স্বামী শ্বশুর বাড়িতে থেকে স্বামীর ঘড় সংসার করতে থাকেন। ঘটনার প্রায় ৬ মাস পুর্বে ১নং আসামি ২ ও ৩ নং আশামির প্রত্যক্ষ কু-প্ররোচনায় মেয়ের বাবার নিকট থেকে যৌতুক বাবদ দুই লক্ষ টাকা আনিতে বলে। এতে মেয়ে অস্বীকার করিলে মেয়ের উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায় আসামিগন মেয়েকে তার বাবা মাসহ পরিবারের সকলের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি ২ ও ৩ নং আসামি মেয়ের সংসার ভাঙ্গার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।উহার ধারাবাহিকতায় গত ১৯/০৩/২০২২ ইং সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় মেয়ে তার শ্বশুর বাড়ীতে শয়ন ঘড়ে থাকা অবস্থায় ১নং আসামি পুনরায় যৌতুক বাবদ দুই লক্ষ টাকা তার বাবার নিকট থেকে নিয়ে আসার কথা বলিলে মেয়ে এতে অস্বীকৃতি জানালে সকল আসামিগন মেয়েকে ও তার বাড়ির লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।উহারে এক পর্যায় ২নং আসামি বলে যৌতুকের টাকা দেয়নাই আবার প্রতিবাাদ করো। এ কথা বলে হাতে থাকা লোহার পাইপ দ্বারা মেয়েকে সজোরে ডাং মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত ও জখম করে। এক নং আসামি মেয়ে ( স্ত্রী)কে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলিয়া বুকের উপর বসে দুই হাত দ্বারা গলা চাপিয়া ধরে এবং দুুই নং আসামি হাতে রাখা লোহার পাইপ দ্বারা এলোপাতাড়িভাব মারপিট করে মারাত্বক ফুলা জখম করে। এ সময় মেয়ে ১নং আসামিকে (স্বামী) অনুনয় বিনয় করতে থাকে এবং ছেড়ে দাও বাবার বাড়িতে যাব জানায়।এসময় ১নং আসামি বলে এখনে যদি তোকে মেরে ফেলি তখন কি হবে বলিয়া মেয়ের তলপেটে কিল-ঘষি মারিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ির বাহিরে চলিয়া যায়।পরে মেয়ে তার বাবার বাড়িতে আসার জন্য তার সার্টিফিকেট সমুহ খোজার সময় ৩নং আসামি আসিয়া মেয়েকে আটক করার চেষ্টা করে এবং ২ নং আসামি আসিয়া পুণরায় মেয়ের চুলের মুটি ধরিয়া টানা হেঁচড়া করে গলা চেপে ধরে।উহাতে মেয়ের পড়নের পোষাক ছিড়িয়া যায় এবং মেয়ে চোখ দিয়ে অন্ধকার দেখতে পায় এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর মোবাইল ফোনে মেয়ে তার ভাইকে জানালে দ্রুত তার ভাই ও মা ঘটনাস্থলে যায় এবং ৯৯৯ এ জানায়। এ খবর পেয়ে তার বাবাও ৯৯৯ এ জানাইলে পুলিশের সহায়তায় তার ভাই ও মা উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। যার বেড নম্বর বি-৫৮ রেজিঃ নম্বর ৮১০/১৮৫ তারিখ ১৯/০৩/২০২২ ইং। মেয়ে কিছুটা সুস্থ হইয়া তার বাবাকে জানালে তার বাবা বাদি হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় ওই তিনজনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করেন। বিষয়টি থানার পুলিশ পরিদর্শকের তদন্তপুর্বক সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহা আলম বাদীর এজাহার খানা আমলে নিয়ে মামলা রুজু করেন।