স্টাফ রিপোর্টারঃ সামান্য খুচরো মাছ বিক্রেতা থেকে শত শত কোটি টাকার মালিক মোঃ জিতু বেপারী!।
কে এই জিতু মিয়া বেপারী? ; এমন প্রশ্নের উত্তর খোঁজতেই বেরিয়ে আসে এই চরিত্রে মূল ক্যারেক্টর জিতু মিয়া বেপারীর অবৈধ উপায়ে উপার্জিত শত শত কোটি টাকার রহস্য।
শরিয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিতু বেপারী স্কুলের গন্ডি মাড়িয়ে মাধ্যমিকেও যেতে পারেনি। তবে অবৈধ উপায়ে শতাধিক কোটি টাকার মালিক বনে গেছে বছর কয়েক ব্যবধানে।
১৯৯৭ সালে চরসেনসাস ইউনিয়নে বড় ভাইয়ের রাজনৈতিক তকমা ব্যবহার করে কোটি টাকা ব্যয় করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জিতু মিয়া বেপারী।
সেই থেকেই আর পিছু ফিরে তাকেতে হয়নি তাকে। একে একে গড়ে উঠে জিতু মিয়া বেপারীর অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক ছত্র-ছায়া আর চেয়ারম্যানির প্রভাব খাটিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেঘনা পাড়ের জমি দখল করে গড়ে তলে ইট ভাটা আর অর্থের বিনিময়ে চাঁদপুর – শরিয়তপুর ফেরি ইজারাও বাগিয়ে নেন ধুরন্ধর জিতু বেপারী।
সম্প্রতি সময়ে জৈনিক এক ব্যক্তি সাবেক এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধানমন্ত্রী কার্যাল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও শরিয়তপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে জিতু বেপারীর অবৈধ অর্থের উৎস খুঁজে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণের লিখিত আর্জি পেশ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজ গ্রামে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি, মেঘনা নদীর পাড়ে মেঘলা ব্রিক ফিল্ড, বেড়াচাক্কি চরে ৭৪ একর জমি দখলে রেখে মাছের হ্যাচারী প্রজেক্ট, আলুবাজার ফেরি ঘাট সড়কের দুই পাশে মার্কেট রয়েছে।
এছাড়াও চাঁদপুর শহরের কোরালিয়ায় পাঁচ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল বাড়ি যা গৃহিনি স্ত্রী রীনা আক্তারের নামে রয়েছে। শহরের জামতলা রোডে দুটি এক তলা বিশিষ্ট বাড়ি এবং মার্কেট, চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে সিটি এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৪০% শেয়ার রয়েছে সাবেক এই চেয়ারম্যানের নামে।
এছাড়াও নামে-বেনামে শরিয়তপুর ও চাঁদপুরে একাধিক স্থানে সম্পত্তি এবং ব্যাংক হিসাব রয়েছে জিতু চেয়ারম্যানের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, জিতু বেপারী একজন মুর্খ মানুষ সে কিভাবে চাঁদপুর ও শরিয়তপুর জেলার সখিপুরে এতো বাড়ি সম্পদ ও টাকার মালিক হলো। তারা বলেন ফেরি ঘাটে ইজারার নামে চাঁদাবাজি ও মানুষের সম্পদ দখল করে এই অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে জিতু। সে অবৈধ উপায়ে প্রায় শতাধিক কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আমরা তার সুষ্ঠ তদন্ত চাই।
আরো জানা যায় ফরিদ নামে জৈনিক ব্যক্তির মাধ্যমে রাজধানীর মতিঝিলে শেয়ার মার্কেটেও প্রায় ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে জিতুর।
এব্যপারে জিতু বেপারীর সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলে জানান।
প্রশ্ন উঠে- কিভাবে সামান্য খুচরো মাছ বিক্রেতা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান এবং অঢেল সম্পদের মালিক হলেন এই চরিত্রে মূল নায়ক জিতু মিয়া বেপারী।