শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
ঘোষনা
বন্ধের দিনে পতাকা উত্তোলন করে রাখা সেই প্রধান শিক্ষক কে কারন দর্শানোর নোটিশ হিরো উমেন স্কলারশীপ বিতরণ র‌্যাব -৫ এর অভিযানে কষ্টি পাথরে বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার ঝিনাইদহে ভর্তুকি মুল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু কটন কারখানা পরিদর্শন করলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৫, ময়মনসিংহ ইউনিটের পুলিশ সুপার ঝিনাইদহে হারানো ও চুরি হওয়া ১০৫ টি মোবাইল, প্রতারণা করে নেওয়া প্রায় ৭ লাখ টাকা উদ্ধার সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রীর গাডি বহরে হামলা মামলার আসামি যশোরে আটক বিএনপি সত্যি ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে কিনা, জানতে চান প্রধানমন্ত্রী শ্রীপুরে মসজিদের ইমাম ও এতিম অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশ, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থাকার ;ঈদ উপহার বিতরণে নিখিল

শবে বরাত রাতের উদযাপিত স্মৃতি

মোঃ রেজাউল করিম খান
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ১৫৮ বার পঠিত

জেলা ব্যুরো সিরাজগঞ্জঃ আজ শবে বরাত। মনে পড়ছে একসময় এদেশে কী ভাবগাম্ভীর্যের সাথেই না উদযাপিত হতো এই রাতটি! ছেলেবেলায় গ্রামের দিনগুলোর কথাই বেশি করে মনে পড়ছে। গ্রামে তখন আজকের মত আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিলো না। দু’একটি পরিবার ছাড়া প্রায় সবাই ছিলো মূলত দরিদ্র। সে সময় আজকের মত উচ্চ ফলনশীল ধান, উন্নত সেচ ব্যবস্থা, সার, কীটনাশক ছিলো না। ধানের ফলন ছিলো আজকের তুলনায় ৫ ভাগের এক ভাগ- নাজিরশাল, আউস, আমন, মাটাগড়া, সসশড়া, পাটজাগ, কাটারী, নাজিরশাল হলে বিঘায় ৫ মন, ঢ্যাপো, লাঠিশাল বড়জোর ১০। মাঠে যাদের চাষের জমি ছিলো, গোয়ালে গরু ছিলো, ঠিকমতো আবাদ না হলে তাদেরকেও সংকটে পড়তে হতো। তবু বরাতের রাতে বিকেল থেকেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াতো কাসার থালায় হালুয়া রুটি। পরিমাণ হয়তো বেশি নয়, আয়োজনও সামান্য- কয়টা চালের রুটি আর খেজুরের গুড় ও কুশালের গুড় দিয়ে বানানো হালুয়া, কিন্তু পাশের বাড়িতে রুটির থালা যাবেই যাবে। গ্রামে বরাতের রাতের নামই ছিলো রুটি। আজ এতদিন পরে, এতটা পথ পেরিয়ে এসে গ্রামের সেই ‘রুটি’র জন্য মনটা হাহাকার করে উঠছে।

বরাতের রাতটি পূর্ণচন্দ্রের। রাতভর বন্ধুবান্ধবদের সাথে দল বেঁধে এক মসজিদ থেকে আর এক মসজিদে ঘুরেঘুরে নামাজ পড়তাম। ইবাদতের ফাকে খাওয়াদাওয়া, হাসি ঠাট্টা, বাদরামিও কিছু কম হতো না। তবু একবারে ফজরের নামাজ পড়ে ঘরে ফিরতাম অন্তরে দারুন এক প্রশান্তি নিয়ে।

বরাতের রাত নিয়ে একটা বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইসলামি পন্ডিতগনও এতে শামিল আছেন। বিতর্কটি শুধু এদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী, এর জেরে মাঝখানে বেশ কয়েক বছর বরাতের রাতের এবাদত থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেছিলাম। লক্ষ্য করছি গত কয়েক বছরে এই আলোচনাটিতে একটা স্বাস্থ্যকর আবহের সূচনা হয়েছে। এবছর এটি বেশ জোরালো। কথা মূলত দু’টি; প্রথমত যদি ধরেও নেয়া হয় যে বরাতের রাতের আলাদা মর্যাদা নেই, তবু যে কোন রাতেই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এবাদতে মশগুল হবার মধ্যে খারাপ কিছু নেই; দ্বিতীয়ত, বরাত একটি ইসলামি সংস্কৃতি, একটি ঐতিহ্য। শবে বরাত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাথে, প্রতিবেশীর সাথে দায়িত্ববোধের, ভালোবাসার সম্পর্ক নবায়নের একটি মাধ্যম। সে হিসেবেও এটি অনুমোদনযোগ্যই শুধু নয়, অতীব প্রয়োজনীয়। ‘মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো’র কথা পবিত্র কোরানে বারবার এসেছে। বরাতের ঐতিহ্যটিকে সে দৃষ্টিকোন থেকে দেখলেই বা ক্ষতি কী!

সাধারণ মানুষ হিসেবে মাসলা মাসায়েলের গূঢ় আলোচনায় যাবার এখতিয়ার নেই জানি, তবু এই দু’টি বিষয় বিবেচনায় নিলেও শবে বরাতের উপলক্ষটি আমার কাছে খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে হয়। মহান আল্লাহ, যিনি হৃদয়ের খবর রাখেন- আমাদের উদ্দেশ্য, আমাদের ভাবনা, আমাদের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন!

শবে বরাত, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991