শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নড়িয়া উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বৈধ কার্যাদেশের নামে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ড্রেজার বসিয়ে রাতদিন বালু উত্তোলন চলছে। এর ফলে পদ্মার দক্ষিণ তীরের রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বক্তারা দাবি করেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে নড়িয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন জিন্টু ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) এসএম ফয়সাল। তারা বলেন, “নামমাত্র বৈধ ড্রেজার রেখে অতিরিক্ত ১০-১২টি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এভাবে চলতে থাকলে পদ্মার ডানতীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাবে। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।” ঝোড়ো
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চাঁদপুরে ছাত্র-জনতার হাতে নিহত আলোচিত সেলিম চেয়ারম্যান ওরফে “বালু সেলিম”-এর মৃত্যুর পর থেকেই সুরেশ্বরে একশ্রেণির বিএনপি নেতাকর্মী কাঁটার (ড্রেজার) মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তোলনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে সুরেশ্বর, কুন্ডেরচর থেকে শুরু করে পদ্মা সেতু পর্যন্ত নদীতীরবর্তী হাজারো পরিবার ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। যেখানে
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাধারণ মানুষের বাড়িঘর সহ জমি রক্ষার্থে ১৪ শত ৭০ কোটি টাকা খরচ করেন সেখানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী হাজার হাজার মানুষের বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার মুখে ঠেলে দিচ্ছে সুরেশ্বর গণমানুষের দাবি অবিলম্বে বালি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে
অন্যদিকে, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, “সরকারি নিয়ম মেনেই ওপেন দরপত্রের মাধ্যমে পদ্মা নদীতে দৃশ্যমান বালু অপসারণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।”
তিনি আরও বলেন, বাঁধ রক্ষার্থে নদীর তলদেশে জমে থাকা অতিরিক্ত বালু অপসারণ জরুরি হওয়ায় এই কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কার্যাদেশের আড়ালে অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের সুযোগ নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা।