বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
ঘোষনা
আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচী ও সন্ত্রাসী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল করেছে পৌর বিএনপি, রাজধানীতে তিন বাসে অগ্নিসংযোগ, বসুন্ধরায় পুড়ল প্রাইভেট কার — লকডাউন কর্মসূচির আগে উত্তেজনা বৃহস্পতিবারের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে আতঙ্ক: একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলে অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীতে ট্রেজার বসানো৷ প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ঢাকা-১৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খান মিল্টনের প্রায় লক্ষাধিক লোকের বিশাল শোডাউন — মনপুরা থেকে বন্যা হরিণ উদ্ধার অমুক্ত চর ফাথালিয়া, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ২টি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর লদ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে চাল ও পেঁয়াজের পাইকারি আড়তে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযান পরিচালনা” জুলাইসহ সকল গণহত্যার বিচার ও জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতির দাবিতে রংপুরে শিবিরের বিক্ষোভ রাজশাহীতে ৩শ গ্রাম হেরোইনসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার হান্ডিয়ালে এম এ সামাদ কলেজে প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন শ্রদ্ধা ও দোয়া অনুষ্ঠিত গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আতঙ্ক ছড়ায় এলাকাজুড়ে কবি বৃষ্টি মিনা পেলেন কবি সংসদ বাংলাদেশ সেরা কবি সম্মাননা ২০২৫ গাজীপুরের শ্রীপুরে ৩ রেস্তোরাকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ যুবলীগের ২ সদস্য গ্রেফতার মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পুলিশের সাফল্য, এলাকায় স্বস্তির বাতাস চলো জি ভাই, হাঁরঘে পদ্মা বাঁচাই” গোমস্তাপুরে জাতীয়তা বাদী দল বিএনপির বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত। দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার প্রকাশক, আছিয়া রহমানের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাতৃজগত পরিবার ধামইরহাটে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে রেলওয়ে স্টেশন ভবনের ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। ঝিনাইদহে আইনজীবী পরিষদের উদ্যোগে- দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের প্রতিহত করার লক্ষ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

শহরে বেড়েছে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম, রাতে দেখা মিলছে ডাকিনী-জোগিনীর

ইয়াছিন আরাফাত
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৩৯ বার পঠিত

ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স যদি আজ পৃথিবীর বুকে বেচে থাকতো। তাহলে সত্যিই আজ আত্মহত্যা করতো কারণ তার সপ্নের পর্যটন নগরী কক্সবাজার এখন পতিতা, ছিনতাইকারী এবং মাদককারবারিদের অভায়ারণ্যে পরিণত। সমুদ্র শহর কক্সবাজারের অনেক রূপ। লিংকরোড অথবা বাস টার্মিনালে চোখে পড়বে দূরপাল্লায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের।

লাল দিঘি পাড়ে হকারের হাঁক-ডাক আর হোটেল জোনের গলি গুলোর প্রাণচঞ্চল চিত্র। সুগন্ধ্যা-

কলাতলীতে পর্যটকে মুখর। কর্মব্যস্ত কক্সবাজার। তবে বেশিরভাগ স্থান দিনের আলোই স্বাভাবিক মনে হলেও রাতের চিত্র একেবারে ভিন্ন। রাতে চলতি পথে সড়কে লাল-নীলসহ হরেক রঙের বর্ণিল আলোকসজ্জার মোহনীয় দৃশ্য নতুন অবয়বে উপস্থাপন করে পর্যটন শহরকে।

লিংকরোড, বাসটার্মিনাল , কলাতলী মোড়, সুগন্ধ্যা, জিয়া গেস্ট মোড়, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মোড়, গোল চত্বর, হলিডে মোড়সহ কক্সবাজারের প্রায় সব পথেই এখন রঙিন আলোর ছড়াছড়ি। কিন্তু রাতের নীরবতায় সমুদ্র শহরে সবাই ঘুমায় না। কেউ যখন দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বিছানায় গাঁ এলিয়ে দেয় অন্য কেউ তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজের ভিন্ন জগতে।

এদের কারোটা বৈধ আবার কারোটা অবৈধ। রাতের পর্যটন শহরে বৈধ কাজ যারা করেন তাদের বেশিরভাগই শহরের বিভিন্ন এলাকার শ্রমিক বা মজুর। কেউ আবার জীবিকার দায়ে বের হন রিকশা-সিএনজি বা অন্য কোনো বাহনকে সম্বল করে। রাতে অবৈধ কাজেরই দৌরাত্ম্য বেশি। সন্ধ্যার পর থেকেই চলে এ দলের প্রস্তুতি। সংখ্যায় কম হলেও অন্ধকার বাড়ার সাথে সাথে এদের তৎপরতা বাড়ে।

এ দলে রয়েছে পতিতা, ছিনতাইকারী এবং মাদকারবারীরা। স্থান ও সময় ভেদে এদের রূপ পরিবর্তন হয়। বদলে যায় অপরাধের ধরন ও কৌশল। সমুদ্র শহরে কয়েক ধরনের পতিতা রয়েছে। এদের মধ্যে জায়গা ও স্থান ভেদে রয়েছে পরিবর্তন ছিনতাইকারীদের হিসাবও অনেকটা একই রকম। সমাজে অবস্থানগত দিক থেকে কক্সবাজারে দুই ধরনের পতিতা রয়েছে। একদল অবস্থান নেয় বিভিন্ন বাসা-বাড়ি বা আবাসিক হোটেলে। আরেক দল ভ্রাম্যমাণ অর্থাৎ পথে-ঘাটে।

 

যারা ভ্রাম্যমাণ তারা শুধুমাত্র পতিতাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল। সমাজের ভেতরে এদের তেমন আনাগোনা নেই। এরা থাকে রাস্তার পাশে বা কোনো নিন্মমানের জায়গায়। সাধারণত শহরের বিভিন্ন রাস্তা, অলিগলি, সমুদ্রের বালিয়াড়িসহ নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে খদ্দের সংগ্রহ করে। খদ্দের সংগ্রহ করার পর একটু অন্ধকারে গিয়ে অনেকটা জনসম্মুখেই বা অন্যান্য খদ্দেরদের সামনেই তারা খদ্দেরের মনোরঞ্জন করে।

 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে, পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং যে-সব পতিতারা সন্ধ্যার পর বালিয়াড়িতে থাকে। তাদের ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকবার মৌখিক ভাবে সরে যাওয়ার জন্য বলেছি।

 

এদের অনেকেরই আগমন বিভিন্ন পতিতালয় থেকে। কেউ কেউ আবার আসে শহরের বিভিন্ন স্হান থেকে ও গ্রামের মেয়েরা যাদের চেহারা বা শরীর স্বাস্থ্য পুরোপুরি বা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে অন্য কোনো কাজ করতে সক্ষম নয় তারা এসে ভিড় জমায় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এ ধরনের পতিতার বেশি আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় রাত ১০-১১টা বাজতেই লিংকরোড, বাসটার্মিনাল , সৈকতের সুগন্ধ্যা পয়েন্ট, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মোড়, কলাতলী মোড়, হলিডে মোড়, লালদিঘি ও আদালত চত্বর। পতিতা ও ছিনতাইকারীর বিষয়ে জানতে চাইলে, কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মনিরুল গিয়াস বলেন। পর্যটন নগরীতে কেযে পতিতা আর কেযে ছিনতাইকারী তা চিহ্নিত করা বেশ জটিল ব্যাপার, ছিনতাইকারী সনাক্ত করতে পারলেই আমরা তাদের প্রতিনিয়তো আইনের আওতায় নিয়ে আসি এবং আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991