স্টাফ রিপোর্টারঃ
০২/০৪/২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন এর দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামের মরহুম আলীমুদ্দিন তালুকদারের দৌহিত্র। বর্তমান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, মোস্তফা জব্বার । ৭৩ বছর বয়সী শিকরের সন্ধানে উন্মুখ মাননীয় মন্ত্রী আব্দুল জব্বার ০২-০৪-২০২২ তারিখে হেলিকপ্টার বহন করে কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে শনিবার সকাল ৯টায় অবতরণ করেন, পিতামহের বাড়ি নবীনগর উপজেলার দক্ষীণ লক্ষীপুর গ্রামে এসে পিতামহের বাড়িটি দেখলেন এবং তাঁর শিকরের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামবাসীর হৃদয় জয় করলেন।
মাননীয় মন্ত্রী পিতামহ আলীমুদ্দিন তালুকদার নিজ গ্রাম নবীনগরের দক্ষিণ লক্ষীপুর ছেড়ে নেত্রকোনার কৃষ্ণপুরে বসতী গড়ে তোলেন। শিক্ষানুরাগী মরহুম আলীমুদ্দিন তালুকদার নেত্রকোনার কৃষ্ণপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়,মক্তব মাদ্রাসা, মেয়েদের স্কুল,১৯৯৬সালের বিদ্যুৎ নেওয়ার বিষয়, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০২১সালের ভিশন বাস্তবায়ন,বাংলা বইয়ের অক্ষর গুলো তার হাতের গড়া,তার লেখা বাংলা পাঠ্য বইয়ের শিক্ষার প্রসারে অসামান্য অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তাঁরই সুযোগ্য দৌহিত্র ডাক ও টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করেন।
তিনি জন্মভূমি দক্ষিণ লক্ষীপুরে আসলেন। শিকড়ের প্রতি গভীর অনুরাগের বসবর্তী হয়ে গভীর আবেগে তিনি কাঁদলেন এবং আত্মার সম্পর্কের গভীর বন্ধনে পিতামহের গ্রামবাসীকে আবদ্ধ করলেন।
তিনি ঘোষণা করলেন-
পিতামহের গ্রাম মানেই তাঁর নিজের গ্রাম। এই গ্রামের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে তিনি থাকবেন বলে প্রতীজ্ঞা করলেন। দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রাম বাসির পক্ষ থেকে মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তার সফর সঙ্গীদের কে ফুলেল শুভেচছা ও সম্মাননা স্বারক উপহার দেন।
উল্লেখ্য, নবীনগরের সন্তান মোঃ খলিলুর রহমান, সম্মানীত সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ একরামুল সিদ্দিকী,নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশিদ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন আজাদ, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামের কৃতিসন্তান ও বাইশ মৌজার বিশিষ্ট শালিশ কারক আলা উদ্দিন আলম খান, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিক গন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত স্থানটি পরিদর্শন করেন