মোহাঃ মাইনুল ইসলাম লাল্টু শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সাহাবাজপুর ইউনিয়নের মৃত তাজেমুল হকের ছেলে জামাল গত ৪ মাস আগে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার মোঃআনিস মিয়ার মেয়ে মোসাঃ আফিদাকে বিয়ে করে নিয়ে আসে,গত ১০দিন আগে বাবার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী আফিদা জামালকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যায়, এবং সেইখানে আফিদার বোন জামাই তাদের একটি ভাড়ার রুম নিয়ে দেয়।গত ১৩ই সেপ্টেম্বর রাত ৩.০০ ঘটিকায় জামালের গ্রামের শফিকুল নামক একজন চৌকিদার জামালের বাড়িতে খবর দেয় যে জামাল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই খবর পাওয়ার পর জামালের চাচাতো ভাই বাবু, জামালের বোন জামাই আলিম,জামালের মামাতো ভাই মিজান ও প্রতিবেশি ধুলু মিয়া সেই খানে যায় এবং ভাড়া বাড়ির মালিক সায়েফ উদ্দিন ও আশেপাশের লোকজন কে জিগ্যেস করে জানতে পারে, দেন মোহরের টাকা ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে জামাল ও তার স্ত্রী আফিদার মধ্যে ১২ই সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ৯.০০ ঘটিকায় ঘরের ভেতর ঝগড়া হয়,এর একপর্যায়ে আফিদার বোন জামাই জুয়েল, বাবা আনিস মিয়া, মা হামিদা বেগম, বোন সাজিদা বেগম রিপা একসঙ্গে মিলে জামালকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেই ভাড়াটিয়া ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে আশপাশের লোকজন কে জানাই, সংবাদ পেয়ে রুপগঞ্জ থানার পুলিশ ১৩ই সেপ্টেম্বর রাত ২.০০ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ময়নাতদন্ত শেষে জামালের চাচাতো ভাই বাবু লাশ বুঝিয়ে নিয়ে আফিদা ও তার বাবা, মা, বোন এবং বোন জামাইকে আসামি করে রুপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে,এই বিষয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ সৈয়দ নুরুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি দ্রুততার সাথে ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিজ অর্থায়নে এম্বুলেন্সে করে মৃত জামালকে নিজ বাড়ি সাহাবাজপুরে পাঠার ব্যবস্থা করেন এছাড়া জামালের দাফন কাফনের জন্য তার পরিবারকে সমস্ত খরচের অর্থ সহয়তা করেন এবং সুস্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত আসামিরা দোষী সাব্যস্ত হলে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন।