শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টারঃ-ঘরের বিছানায় সাজানো দেশীয় অস্ত্র। কাঁদে রাম দা নিয়ে ছবি তুলে দিদারুল ইসলাম বিজয় পরে ওই ছবি পাঠিয়ে কলেজ ছাত্র রিফাতকে (১৭) হুমকি দেয় দিদারুল ‘যা পারস করগা’। এই ভাবে দেশীয় অস্ত্রের ছবি পাঠিয়ে হুমকি
দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৪’ই অক্টোবর ২০২২ইং শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বেড়াইদেরচালা গ্রামে। ভুক্তভোগী রিফাত ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার এলাকার অললি গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে। সে উপজেলার অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
অভির্যুক্তরা হলো ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার এলাকার অললি গ্রামের মোঃ বাদল সরকারের ছেলে দিদারুল ইসলাম বিজয় (২০) একই গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ ইউনুছ মিয়া (২২) মৃত বুল মোহাম্মদ শেখের ছেলে মোঃ বাদল মিয়া (৪৫)। অভির্যুক্তরা শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামে বসবাস করে। ভুক্তভোগী রিফাত জানায়, লক হয়ে যাওয়া ফেইসবুক আইডি পুণ চালু করার জন্য ইউনুছ মিয়াকে পাঁচ’শ টাকা দেয় রিফাত। ইউনুছ উক্ত আইডি ঠিক না করায় টাকা ফেরত চায় রিফাত। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
১৩’অক্টোবর ২০২২ইং বৃহস্পতিবার ইউনুছ বিজয়কে দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে রিফাতকে ডেকে নেয়। রাত ৭টার দিকে রিফাত বিজয়ের বাড়ি পৌছে। এই সময় ঔ স্থানে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান যুবকরা রিফাতকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে দিদারুলের বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। রাতভর রিফাতের সন্ধান করতে পারিনি পরিবার। ১৪’ই অক্টোবর সকাল ৬টার দিকে রিফাতের মা ফাতেমা আক্তার ছেলের সন্ধান পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখতে পান রিফাত অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাতে রিফাতের মা বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। রিফাতের বড় ভাই ফাহাদ জানান, থানায় অভিযোগ করার পর দিদারুল তার ঘরের বিছানায় রাখা দেশীয় অস্ত্র ও রাম দা কাঁধে ছবি তুলে পাঠিয়ে তার ভাইকে এ ভাবে হুমকি দেয় যে, আজ বেঁচে গেলি। সুযোগ পাইলে ছাড়ব না, ‘যা পারস করগা।’ রিফাতের মা ফাতেমা আক্তার জানান, তার ছেলেকে অভির্যুক্তরা হত্যা করতেই এ ভাবে মারপিট করেছে। আবার দেশীয় অস্ত্রের ছবি পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তিনি ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকন্ঠায় আছেন।
এই দিকে অভির্যুক্ত দিদারুল ইসলাম বিজয়ের বক্তব্য নিতে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করলেও মোবাইলটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই হামিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি তদন্তাধিন আছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।