শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্ৰামের বাবুল খানের ভাটিয়া আজিদা বেগমের তালাবদ্ধ ঘর থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুরে প্রেরণ করেন।
গতো (২১’শে এপ্রিল ২০২৪) রবিবার, পারিবারিক কলহের জেরে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে আজিদা বেগম(৩৮)’কে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী ও তার সহযোগীকে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে কুমিল্লা ও গাজীপুর জেলা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ এবং র্যাব-১১।
উক্ত ঘটনায় নেত্রকোণা জেলার কমলাকান্দ উপজেলার হাইলাট্টি গ্ৰামের মরহুম রুমালী মিয়ার ছেলে মোস্তফা (৩৫) শ্রীপুর মডেল থানায় একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা দায়ের করেন। শ্রীপুর মডেল থানার মামলা নং-২৭/১৭০। মোস্তফা আজিদা বেগমের ছোট ভাই ।
ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী পোড়াবাড়ি ক্যাম্প, গাজীপুর এর চৌকস আভিযানিক দল বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করেন এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
র্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুর এবং র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন বলেশ্বর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় আজিদা বেগমের হত্যা মামলার সাথে জড়িত প্রধান আসামী মোঃ ইদ্রিস মিয়া (৫৫)’কে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন বলেশ্বর এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। ইদ্রিস মিয়া আজিদা বেগমের ২’য় স্বামী ।
মোঃ ইদ্রিস মিয়ার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অন্যতম সহযোগী আসামী মোঃ রহমত আলী (৫৫)কে গ্ৰেফরার করা হয়, রহমত আলী নেত্রকোনা জেলার সদর থানার, জামাদি গ্ৰামের মোঃ আরশ আলীর ছেলেকে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা থেকে গ্ৰেফতার করেছে র্যাব-১ ।
বিগত ০৮ (আট) বছর আগে মোঃ ইদ্রিস মিয়া আজিদা বেগম ২’য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর থেকেই তাদের মাধ্যে পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জের ধরে প্রতিনিয়ত ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হতো। তাদের মাঝে দাম্পত্য কলহের অবনতি হলে মোঃ ইদ্রিস মিয়ার মনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ও হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রধান আসামী মোঃ ইদ্রিস মিয়া এবং তার অন্যতম সহযোগী আসামী মোঃ রহমত আলী, আজিদা বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে জবাই করে। সহযোগী মোঃ রহমত আলী ভিকটিমের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।