শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের শ্রীপুরে গাজীপুর জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার জাহাঙ্গীপুর মৌজা এবং ঝালপাজা মৌজার সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছে। এতে একাদিকবার দুই জেলার গ্রামের বাসিন্দারা মুখোমুখি হয়েছে। একাদিকবার ঐ সীমানা স্থানীয়ভাবে সংশোধন করার চেষ্টা করলেও কোন ফল আসেনি।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন, জাহাঙ্গীপুর গ্রামের লোকজনের অভিযোগ, আরএস ১৩ নং জাহাঙ্গীপুর মৌজার ১ একর ৯৩ শতাংশ জায়গা ঐ মৌজার আওতাধীন।কিন্তু দুই জেলার সীমানা জটিলতার অজুহাতে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার, হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ঝালপাজা এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের অধিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে। গত ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ বুধবারে প্রশাসনিক লোক নিয়ে জবর দখল করে পিলার পুতা হয়।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদ ৫ ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ জানান, জাহাঙ্গীপুর গাজীপুর জেলার সর্বশেষ গ্রাম এর পরেই ময়মনসিংহ জেলা। জাহাঙ্গীপুর এবং ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন, ঝালপাজা গ্রামের সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছে। গত বুধবার সকালে ভালুকা উপজেলার নির্বাহী অফিসার, পুলিশ প্রশাসন এবং হবিরবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত থেকে তাদের মনগড়া মত ঝালপাজা মৌজার সীমানা নির্ধারন করে সীমানা পিলার পুতা হয়।
গাজীপুর জর্জ কোর্টের সিনিয়র ওকিল এ্যাডঃ মোঃ আব্দুল হাই স্বপন বলেন ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ির ঝালপাজা মৌজার সীমানানির্ধারন এবং ম্যাপ সঠিক হয়নি। এটা জাহাঙ্গীপুরের জনগন কোনভাবেই মানছে। আমরা সীমানা সঠিক ভাবে নির্ধারন জন্য আদালতের স্মরনাপর্ন হবো। শ্রীপুর উপজেলার ৫নং কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আবদুল আজিজ বলেন, ঝালপাজা এবং জাহাঙ্গীপুর মৌজার সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছে। স্থানীয় ভাবে একাদিকভার মিমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও কোন সমাধানে যেতে পারেনি। ১৮ জানুয়ারী গত বুধবার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার, ভালুকা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাগন জাহাঙ্গীপুরের কোন লোকজন কে না জানিয়ে তারা সীমানা নির্ধারন করেছে। এতে জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের লোকজন অসন্তুষ্ট। আমরা তাদের এই ম্যাপ মানিনা। প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।